ছবি- সংগৃহীত
ভিয়েতনামে বাংলাদেশিদের জন্য ‘ই-পাসপোর্ট’ সেবা চালু হয়েছে। আজ শুক্রবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৪৮তম মিশন হিসেবে ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে এ সেবার শুভ উদ্বোধন করা হয়।
দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালকসহ কারিগরি প্রতিনিধিদল এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।
উদ্বোধনের আগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের টিম টেকনিক্যাল কার্যক্রম এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানে ‘ই-পাসপোর্ট’ আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপস্থিত বাংলাদেশিদের সম্যক ধারণা দেন ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আল-আমিন মৃধা। তিনি সরকারের ‘ই-পাসপোর্ট’ প্রকল্পের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কারিগরি প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে দূতাবাস থেকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে ই-পাসপোর্ট সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
তিনি বলেন, এই কার্যক্রম চালু করার ফলে এখন থেকে ভিয়েতনাম ও লাওসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা দূতাবাসে এসে ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও দূতাবাস ভিয়েতনাম ও লাওসের বিভিন্ন শহরে কনস্যুলার পরিষেবা প্রদানের সময় ‘ই-পাসপোর্ট’র আবেদন গ্রহণ করবে।
আবেদনকারীরা ৫ বছর বা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে ‘ই-পাসপোর্ট’ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রদূত কয়েকজন আবেদনকারীকে ‘ই-পাসপোর্ট’ এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন। উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাসের এই উদ্যোগে সন্তোস প্রকাশ করেন এবং দূতাবাসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।