
ফাইল ছবি
বিশ্ব ইজতেমা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সহিংসতাকারীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, ইজতেমা নিয়ে সহিংসতার বিষয়ে তদন্ত চলছে। সাদ এবং জুবায়ের দুই পক্ষই আমাদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে ছিল। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আসতেই হবে। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর হস্তে তাদের দমন করা হবে।
যে কোনো পরিস্থিতি ও নির্বাচনের জন্য পুলিশ প্রস্তুত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ১৮৫ জনের মতো (পুলিশ সদস্য) কাজে যোগ দেয়নি, এ সংখ্যা নগণ্য। বাকি পুলিশ সদস্যরা কার্যকরী অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। র্যাব, বিজিবি রয়েছে। নির্বাচনসহ যে কোনো অবস্থা মোকাবিলা করতে কোনো অসুবিধা হবে না।
ডাকাত আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করে দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাব কর্মকর্তা খালিদ বলেন,
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ডাকাতদল হানা দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যাংকটির আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুয়িদ জানান, চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকে ডাকাত প্রবেশ করলে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ব্যাংকে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
তিনি বলেন,ব্যাংকের কর্মী, পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডাকাতরা দুপুর ২টার দিকে ব্যাংকে ঢোকেন। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির বিষয়ে জানানো হলে আশপাশের কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখাটি ঘেরাও করেন।
ব্যাংকের ম্যানেজার শেখর মণ্ডল জানান, ঘটনার সময় তিনি ব্যাংকে ছিলেন না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রইছ আল রেজওয়ানসহ র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।