ফাইল ছবি
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘ঘোষণাপত্রের প্রস্তাবনা শিক্ষার্থীরা দিয়েছে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে ঘোষণাপত্র সরকার দেবে না। সরকার এটার প্রক্রিয়াকে ফ্যাসিলিটেট করবে। সরকার নিজে বানিয়ে কোনো ঘোষণাপত্র দেবে না। বরং সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনাটি ঘোষণা হবে বা প্রণীত হবে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মাহফুজ আলম।
জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রক্রিয়া নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং দলগুলোর বাইরে সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা এটা করব। ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা এটা করব, সবার কথা শোনা হবে। পরবর্তীতে কতটুকু সংস্কার করা হবে, যেমন সংবিধান সংস্কার বা বাতিলের প্রশ্ন আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক করা হবে।’
আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসার আশা ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব সংগঠনের সঙ্গে আমরা আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে বসব। আমরা আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটা শেষ হবে।’
জুলাই ঘোষণাপত্রে কেন সরকার জড়িত হলো—এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র দেবেন। পরে সরকার বুঝতে পারে যে, এটা যদি শুধু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আসে তাহলে সেটা দেশের ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তখন সরকার দায়িত্ব নেয়। আমরা আশা করছি সরকার শুধু রাজনৈতিক দল নয়, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে এই ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে, তা আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে।’