ফাইল ছবি
রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনার সময় অজ্ঞান করার পর শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি দুই চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে আয়ানের মা-বাবাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অনুমোদনহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার তদন্ত প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আয়ানের পরিবার। তারা চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে, প্রতিবেদনটির আলোকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের দিকে নজর রাখছে সবাই।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়ানের খতনা হয়। তখন তাকে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর তার আর জ্ঞান ফেরেনি।
টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে শিশু আয়ান মারা যায়। ভুল চিকিৎসা এবং অবহেলার কারণে আয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি শিশু আয়ান আহমেদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
পাশাপাশি দেশের সব সরকার অনুমোদিত ও অননুমোদিত হাসপাতাল ক্লিনিকের তালিকা এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।