ছবি- সংগৃহীত
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার সন্ধ্যায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী পাঁচ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করায় সায়েন্স ল্যাব এলাকা, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরে ফেরা মানুষ। রাত ১০ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ সংলগ্ন মিরপুর সড়কে অবস্থান করছিলেন।
জানা গেছে, সাত কলেজের ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থী আলোচনা করতে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের কার্যালয়ের সামনে যান। অধ্যাপক মামুন আহমেদ দুই-তিনজন প্রতিনিধিকে তার কার্যালয়ে এসে কথা বলতে অনুরোধ করেন। তবে সে অনুরোধ উপেক্ষা করে সবাই কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। এসময় ‘মব’ সৃষ্টি অধ্যাপক মামুন তাদের সঙ্গে আর কথা বলেননি। পরে এর প্রতিক্রিয়ায় সেখান থেকে তারা বেরিয়ে অবরোধ শুরু করেন।
অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল আমার কার্যালয়ে এসে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলতে চাইলে, আমি দুই-তিনজন প্রতিনিধিকে আসতে বলি। তখন আমার অনুরোধ না রেখেই সবাই কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। সেসময় সেখানে এক ধরনের মব ক্রিয়েট হয়। এজন্য আমি আর কথা বলেনি এবং পরে তারা চলে যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন বলেন, আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে প্রো-ভিসি স্যারের কাছে গেলে তারা আমাদেরকে অপমান করে বের করে দেন। এখন শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সবগুলো দাবি রাতের মধ্যে মেনে নিতে হবে। নইলে রাস্তা ছাড়ব না।
ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, সাত কলেজে ভর্তির আসন কমানোসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসিসহ ইউনিটের দায়িত্বরত শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন। শিক্ষকেরা নাকি তাদের কথার কোনো গুরুত্ব দেননি। এরই প্রতিবাদে তারা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়েসহ আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে; শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না; শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে; নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে; সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।