ফাইল ছবি
বুধবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে একদল বিক্ষুদ্ধ ছাত্র। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ফিরোজ আহমেদ তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আজকে যারা যারা এই কাজটা করেছে, যারা যারা এই কাজের উসকানি দিয়েছে, যেই হোক না কেন সে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ইউনূস সরকারের কর্তব্য।’
ফিরোজ আহমেদ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘বৈধ হিসেবে মনে করেন, এমন একটা সরকারের অস্তিত্ব থাকলে কোনও ভবনে বুলডোজার চালানো কিংবা আগুন দেওয়া কিংবা ভাঙচুর সন্দেহাতীতভাবেই ফৌজদারি অপরাধ।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজকে যারা যারা এই কাজটা করেছে, যারা যারা এই কাজের উসকানি দিয়েছে, যেই হোক না কেন সে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ইউনূস সরকারের কর্তব্য।’
ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতার ন্যূনতম প্রমাণ হবে এটা—এদের বিচার করা। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে যেকোনও সম্পদ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা যদি সরকার দিতে না পারে, ঘোষণা দিয়ে যদি তা এভাবে ভাঙা যায়, তাহলে সরকারের কার্যত অস্তিত্ব থাকে না।’
‘বুলডোজার বাহিনীর মাঝেও ফ্যাসিবাদী ঔদ্ধত্যের সব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে’, জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘রাজনৈতিকভাবে এরা যদি সফল হয়, বাংলাদেশ কয়লা হয়ে যাবে। আমার আশা, এরা ব্যর্থ হবে। এই লোভী ও বর্বর মানুষগুলো জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান ভাঙিয়ে বেশিদূর যেতে পারবে না।’
বিশিষ্ট এই নাগরিক বলেন, ‘হাসিনার বিচার ও প্রত্যর্পণ যেখানে হওয়ার কথা দাবি, সেখানে তাকে পুনর্বাসন করার কাজটাই করবে এই ঘটনাটা।’
ফিরোজ আহমেদ আরও লিখেছেন, ‘আর মনে রাখবেন, এই ঘটনাগুলোতে সর্বদা শক্তিশালী হয় গোয়েন্দা সংস্থা ও আমলাতন্ত্র। যারা এই ঘটনা ঘটালো, তারা বাংলাদেশের জনগণকে কয়েক ধাপ পিছিয়ে দিলো। জুলাইয়ের অর্জনকে তুলে দিলো অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর হাতে। প্রতিবেশীরও হাতে।’
-বাংলা ট্রিবিউন