
ফাইল ছবি
নিরাপদ খাবার ও ব্যবহারযোগ্য পানিকে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন।
নিরাপদ খাবার ও ব্যবহারযোগ্য পানিকে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন।
পরে আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, রায়টি বাস্তবায়িত হলে দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে ও পানিবাহিত রোগ থেকে মানুষ রক্ষা পাবে।
এর আগে ২০২০ সালে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ খাবার ও ব্যবহারযোগ্য পানি নিশ্চিত করতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
রায়ে আদালত বলেছেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ পানযোগ্য পানি পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার এবং এই পানির অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
নিরাপদ পানযোগ্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আদালত বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক স্থান, অর্থাৎ আদালত, ধর্মীয় উপাসনালয়, হাসপাতাল, রেলস্টেশন, হাট-বাজার, এয়ারপোর্টসহ প্রত্যেক স্থানে নিরাপদ পানযোগ্য পানি প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ এবং পানযোগ্য পানি সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিতের ব্যবস্থা করতে হবে।
২০২৬ সালের মধ্যে সব পাবলিক প্লেসে বিনা মূল্যে নিরাপদ পানি সরবরাহে নেওয়া ব্যবস্থার বিষয়ে সরকারকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই আদেশটি চলমান আদেশ হিসেবে থাকবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী কবির বলেন, ‘বাংলাদেশের যত পানির উৎস রয়েছে, এই পানির উৎস যাতে ক্ষয়িষ্ণু না হয়, অর্থাৎ পানি শুকিয়ে না যায়, পানি অনিরাপদ না হয়, পানি দূষিত না হয় সেগুলোকে সংরক্ষিত করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’