
ছবি- সংগৃহীত
পুলিশ লাইন্সের ভেতরে গোপন কারাগারসহ সব বাহিনীর ভেতরেই গোপন বন্দিশালার সন্ধান পেয়েছে গুম কমিশন। তবে সব বাহিনীর বন্দিশালা থাকলেও প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
গোপন বন্দিশালা বা আয়নাঘর জনমনে এক রহস্যময় উপাখ্যান। একে একে সেই রহস্যের জট খুলছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত গুম কমিশন। এরইমধ্যে গত মাসে সরকারের ঊর্ধ্বতনরা তিনটি বন্দিশালা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সভাপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সব বাহিনীর মধ্যে গোপন বন্দিশালার সন্ধান মিলেছে। তবে এখনও প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা যায়নি।
তিনি বলেন, ৩৩০ জনের অনুসন্ধান চললেও তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। বন্দিশালায় নির্মমতায় সরকার প্রধান ও উচ্চপর্যায়ের লোকজন জড়িত। জড়িতদের বিচার হলে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বাহিনীগুলোর।
২০০৯ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের এক হাজার ৭৫২ অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে। এরমধ্যে ৩৩০ জনের এখনো হদিস মেলেনি। ভারতের কারাগারে বন্দি এক হাজার ৬৭ বাংলাদেশির তালিকা ধরেও খোঁজ করেছে কমিশন।
ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে গুম কমিশন, যা বিচারের জন্য জমা দেয়া হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।