
ফাইল ছবি
জুলাই অভ্যুত্থানে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করে জনরোষের মুখে পড়ে পুলিশ। এরপর আট মাস কেটে গেলেও এখনও পুরোদমে কাজে ফিরতে পারেনি বাহিনীটি। এ কারণে সবচেয়ে বড় বার্ষিক অনুষ্ঠান পুলিশ সপ্তাহ আয়োজন নিয়েও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা।
অবশেষে নির্ধারিত সময়ের চার মাস পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে হতে যাচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সময় চেয়েছে পুলিশ সদর দফতর। তবে চারদিন কমিয়ে আয়োজন হচ্ছে তিন দিনের। সীমিত করা হয়েছে আয়োজনও।
পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের মনোবল বাড়িয়ে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেয়াই এবারের পুলিশ সপ্তাহের লক্ষ্য।
যা থাকছে পুলিশ সপ্তাহে
> মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন
> নাগরিক সভা
> পুলিশের সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক
> বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা
> অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়
> আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর উপস্থাপনা
থাকছে না যেসব আয়োজন
> পুলিশ প্যারেড
> রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ
> বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
> নৈশভোজ
> সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
পুলিশ সদরদফতরের এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, জন আকাঙ্ক্ষা পূরণে কী কী উদ্যোগ আরও গ্রহণ করা প্রয়োজন, সেই বিষয়গুলোকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এসব বিষয়ে মূলত আলোচনা হবে।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুরস্কার দেয়ার চল থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা।
তবে পুলিশের বার্ষিক আয়োজন সীমিত করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগেহর অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। তিনি বলেন, যেকোনো বাহিনীর বাৎসরিক একটা সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হলে সেখানে নানারকম কর্মকাণ্ড থাকবে। সেখানে সাংস্কৃতিক আয়োজন তো অবশ্যই থাকতে হবে। তাদেরও সুস্থ বিনোদনের দরকার রয়েছে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের ভাবমূর্তি ফেরাতে পুলিশ সপ্তাহে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলেও মত এই বিশেষজ্ঞের।