ফাইল ছবি
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীসহ সারা দেশে শীতের তীব্রতা অনেকটাই বেড়েছিল। রাতে কনকনে শীতও অনুভূত হয়েছে কিছুদিন। তবে গত কিছুদিন ধরে আবার শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রায় বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
তবে এরপর আবার তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ‘সোমবার শীতের অনুভূতি কিছুটা কমেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে চলতি মাসের শেষদিক পর্যন্ত।
২৯ ডিসেম্বরের পর আবার তাপমাত্রা ক্রমে কমতে পারে। তবে তার আগ পর্যন্ত তাপমাত্রায় বড় ধরনের উত্থান-পতনের সম্ভাবনা নেই। কখনো একটু বাড়তে পারে, কখনো কমতে পারে।’তরিফুল নেওয়াজ বলেন, মাঝে কিছুদিন রাতে তাপমাত্রা কমে কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে।
তবে আগামী ৫-৬ দিন রাতের বেলা কনকনে শীতের অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা কম। বরং রাতে তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধির প্রবণতা থাকতে পারে।এদিকে ডিসেম্বরের শেষ হতে বাকি আর কিছুদিন। আসছে বছরের শীতলতম মাস জানুয়ারি। আবহাওয়াবিদরা জানান, এই সময়ে দিনের দৈর্ঘ্য কম হওয়ার কারণে সূর্যের আলোও কম সময় ধরে থাকে
সেই সঙ্গে পশ্চিমা বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাস, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় ও জেট স্ট্রিমের প্রভাবে জানুয়ারি মাসে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে।
তরিফুল নেওয়াজ বলেন, ‘জানুয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই শীত বাড়বে। মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে রংপুর বিভাগ, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল এবং পশ্চিমের যশোর ও চুয়াডাঙ্গার মতো অঞ্চলগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে আগামীকাল মঙ্গলবার। দিনের তাপমাত্রা তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকলেও কিছুটা বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রা। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বা আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে সারা দেশেই।
আজ সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে, ১০.৪ ডিগ্রি। ঢাকায় এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।