ছবি- সংগৃহীত
সুযোগ এসেছিল কয়েকবারই, তবে বল জালের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগেও গোলের একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। তবে সাগরিকাদের সেই গোল মিসের আক্ষেপ বেশিক্ষণ থাকতে দিলেন না অধিনায়ক আফিদা খন্দকার। যোগ করা সময়ে তার সহায়তায় সাগরিকার দেওয়া গোলেই ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ।
এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ রবিবার গ্রুপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দুই জয়ে পৌঁছে গেছে ফাইনালে।
ভারত আসর শুরু করেছিল ভুটানকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে। কিন্তু আজকে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারায় ৩ পয়েন্টই রইল তাদের। দিনের অন্য ম্যাচে ভুটানকে ১-০ গোলে হারানোয় নেপালের পয়েন্টও ৩।
আগামী মঙ্গলবার গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে এরই মধ্যে ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ায় সেই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। তবে টানা তিন জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। একই দিনে আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও নেপাল।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই দূরপাল্লার ফ্রি কিকে গোল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জাল খুঁজে পায়নি তার বল। তবে এরপর খেই হারায় লাল-সবুজরা। এসময় ভারত চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশের ওপর। তবে গোলশূন্য অবস্থায়ই শেষ হয় প্রথমার্ধ।দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই সাবধানী হয়ে খেলতে থাকে। ৭১ মিনিটে সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে স্বপ্নার কর্নার কোনোমতে আটকান ভারতের গোলরক্ষক। ৮৩তম মিনিটেও ভালো একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। আরেকটি সুবর্ন সুযোগ নষ্ট হয় ৮৭তম মিনিটে। একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে উঠে ভারতের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গায়ে মারেন মুনকি।
হতাশা দূর হয় যোগ করা সময়ে। আচমকা নিজেদের বক্সের উপর থেকে লং পাস বাড়ান আফিদা। ভারতের এলোমেলো রক্ষণভাগের সুযোগ নিয়ে বল কাটিয়ে বেরিয়ে যান সাগরিকা। এরপর নিঁখুত শটে খুজে নয়ে পৌঁছে গেছে ফাইনালে।