ছবি- বহুমাত্রিক.কম
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করার কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সুস্থ, সবল তরুণ জনগোষ্ঠির। এখানে তাই তামাকের কোনো স্থান থাকতে পারে না। প্রত্যেকটি মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।’
সভায় মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। ড. আতিউর বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীটির মাধ্যমে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে। এর মাধ্যমে মূলত যারা ধূমপান করছেন না তাদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেওয়া এবং কিশোর-তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।
অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, এমপি বলেন, আইনের পাশাপাশি ব্যাপক গণসচেতনতা ও মোটিভেশন দিয়ে তামাকের বহুল ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিশিষ্ট শ্রমিক নেত্রী শামছুন্নাহার এমপি বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের বড় অংশ ধূমপান করে থাকেন। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা হলে শ্রমজীবী মানুষেরা তামাক ছাড়তে উদ্ধুব্ধ হবেন। ফলে তাদের অর্থনৈতিক সাশ্রয়ও হবে।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিটিএফকেএ-এর লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের এপিডেমিওলজি ও গবেষণা বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অধ্যাপক ড. সোহেল রেজা চৌধুরী, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ এন্ড ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদসহ অন্যান্যরা।
বহুমাত্রিক.কম