-লেখক
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে চলে গেছে, নানা ধরণের অর্জন পেয়েছে। দেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটেছে এবং দেশ যখন নানা সমীক্ষায় তার কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে, তখনই শুরু হয়েছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বর্বরতা নৃশংসতা তাণ্ডব চালানো সময় তাদের মানবতা কোথায় ছিল? এখন এসমস্ত দেশ মানবতার সবক শুনায়, যা লজ্জাজনক। ১৯৭১ সালের পৈশাচিক হত্যা জন্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় বাস্তবায়নের বিপক্ষে আবেদন জানিয়েছিল, বড় বড় দেশ ও সংস্থাগুলো কিন্তু সরকার প্রধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা কাউকে ভয় না পেয়ে তাহা বাস্তবায়ন করেছিল।
কাদের মোল্লা, সাকা চৌধুরী, গোলাম আজম মতো ঘৃণা মানুষদের বাঁচানো চেষ্টা চালিয়ে ছিল। যাতে সরকার ফাঁসি না দেওয়া দেয় এ অনুরোধ জানিয়েছিল। ড.ইউনূস সাহেব এর দেশের মানুষের প্রতি আস্থা নাই। বিদেশি প্রভুরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে দেশের ক্ষমতা নিতে চায়। তিনি যদি রাজনীতি আসতে চান,আসবেন ভালো কথা, জনগণ যদি উনাকে চায় সবাই স্বাগত জানাবে। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা যাওয়া ও দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি পায়তারা করছেন।
জনগণ তার মনোভাব বুঝে ফেলেছেন। তিনি জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন ২০০৭ সালেই। জনগণকে চিঠি দিয়েছিলেন যখন সাড়া পেলেন না তখন জনগণের কাছে মাপ চেয়ে দ্রুত দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। যুদ্ধাপারাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে এরকম বিবৃতি সরকার প্রধানকে চিঠি দিয়েছিল। বিদেশির রাষ্ট্র ও ব্যক্তির কাছে বিবৃতি ভিক্ষা চেয়ে বাংলাদেশকে ছোট করেছেন। তাঁর হীন ষড়যন্ত্র নীলনকশা জনগণ মেনে নিবে না বিদেশি প্রভুর রাষ্ট্রের কাছে।
মাথা নত করে দেশকে ছোট করা কোন মানেই হয় না। দেশবাসী আগেই তাকে লালকাড দেখিয়ে ছিল।বহিঃবিশ্বের বিমাতৃসুলভ আচরণের দেশবাসী তাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শেখ হাসিনার বিপক্ষে বেশ কিছু ব্যক্তি ও নোবেল বিজয়ীরা এরা কোন বিশেষ মানুষের আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগকারীর প্রচোরনায় দেশের মানুষ ও দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাদের হীনমন্যতা ও
স্বাধীনতা বিরোধীরা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে উঠেপড়ে লেগেছে।
বাংলাদেশ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অজন করেছিলো। এসব বেনিয়ারা আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল। এইসবদেশ ও ব্যক্তি আজন্মকাল আমাদের শত্রু । ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে অত্যাচার অবিচার জুলুমের হাত মুক্তি পেয়েছিলো এদেশ। বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অহরহ দেখতে পাই। রাজনৈতিক সংকট আমরা দেখতে পাই। বিশ্বের সাবেক ও বর্তমান সরকারপ্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের খোলা চিঠি ড. ইউনুসের পক্ষে এর আগেও প্রকাশিত হয়েছিল, এবার তারা উল্লেখ করেছে যে বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের সঙ্কট চলছে; মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে এবং সরকারের বৈধতার ঘাটতি রয়েছে। তারা তিনটি বিষয় প্রস্তাব উল্লেখ করেছে যা এর আগে কখনোই এতো ব্যাপক পরিসর থেকে তুলে ধরা হয়নি।
আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মদদপুষ্টদের সফলতা মনে করছেন অনেকে। এহেন বড় অভিযোগগুলো ইতিবাচক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত বলে প্রতীয়মান হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এ ধরণের আপতকালীন বক্তব্য ঘৃণার চোখে দেখছি। শত-শত কোটি টাকা ব্যয় করে যারা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে আর যাইহোক দেশপ্রেমিক মানবহিতৈষী রাজনৈতিক নেতা হতে পারে না। এদেশ কিভাবে চলবে তা এদেশের জণগণ ঠিক করবে। বিদেশি কারও কথায় বক্তব্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি।
নোবেল পুরস্কার যারা দেয় তাদের তোষণ করতে পারলে হবে এটা একটা বড় আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বলে মনে করছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে কম করে হলেও এদেশ থেকে মিনিমাম ৫০জন এ পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা ছিল কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হয়নি। এসব পুরস্কার কোটারি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে । বাংলাদেশে নিয়ে কিছু বিদেশি দেশ ও ব্যক্তির নাক গলানো শুরু করেছে তা মোটেও আক্ষরিক অর্থেই কাম্য নয়। সকল বাধা কলাকৌশল ভেঙেচুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে জয়ী হতে হবেই ।
লেখক: সভাপতি :বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্য কেন্দ্র। ইমেইল :[email protected]