ছবি- সংগৃহীত
এক সময় স্কুলে সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার ‘বিচিত্রানুষ্ঠান’ নামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। সেখানে স্কুলের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গান, কবিতা, ছড়া, কৌতুক, নাটিকা পরিবেশন করা হতো। মূলত অনুষ্ঠানটির মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিমুখী করে তোলা এবং পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি তাদের আগ্রহী করে তোলা। আমার স্কুলে এমন একটি অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি একদিন পরিবেশন করি। গানটি শুনে শিক্ষকসহ স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রী মুগ্ধ হয়ে যায়। তারা আনন্দে উচ্ছাস প্রকাশ করে আমাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তোলে। এরপর প্রায় প্রতি সপ্তাহেই আমাকে সকলের বিশেষ অনুরোধে গানটি পরিবেশন করতে হতো।
সকলেই জানেন, একই গান একই সুরে দিনের পর দিন গাইতে নিশ্চয় ভালো লাগার কথা নয়। কিন্তু এই গান গাওয়ার আগেই আমার মন অজানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠতো, অদম্য সাহস বুকে তোলপাড় করতো, চোখের সামনে ভেসে উঠতো কারাবন্দী কবি কাজী নজরুলের মুখ! অসম্ভব সfহসে উজ্জীবিত হতাম। এবং সেই উন্মাদনায় বারবার ‘কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট’- গাইতে অসম্ভব ভালো লাগতো। সুর বেশ সহজ-সাবলীল হলেও গানের কথা ভীষণ কঠিন হওয়ায় এর আগে আমার ছোট বোনের কাছে গানের কথা মুখস্ত করে রিহার্সেল করতে হয়েছে টানা এক সপ্তাহ।
সেই থেকে আমার হৃদয়ে পৃথিবীর সকল প্রতিবাদী ও দেশাত্ববোধক গানের তালিকার সামনের সারিতে ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ বিশেষ মমতায় স্থায়ী হয়ে আছে। গণমানুষের কবি, অত্যাচারিত, নিপীড়িত মানুষের কবি কাজী নজরুল ইসলামও আছেন বিশেষ সম্মানের স্থানে।
আমি জানি, বিশ্বাস করি- সঙ্গীতের কোনো সীমানা নেই। তামাম দুনিয়ার সঙ্গীতই আমার সঙ্গীত। গানের কোনো শত্রু নেই। কিন্তু হঠাৎ হৃদয়ের সেই বিশেষ স্থানটিতে ভূমিকম্পের মতো নাড়া দিয়েছেন আরেক প্রিয় মিউজিক কম্পোজার, সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান। এবার নজরুলের সেই ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানকে নতুনরূপে হাজির করেছেন তিনি। ভারতের এই অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক বাংলাদেশেও তুমুল জনপ্রিয়। নেটের কল্যাণে ইচ্ছেমতো ঘষামাজার পর সেই গান এখন দুনিয়াজোড়া আলোচনা- সমালোচনার ঝড় তুলেছে। সেই ঝড় অস্কার বিজয়ী শিল্পী এ আর রহমানের তুমুল জনপ্রিয়তা ও সম্মানকে টলমলো করে ফেলেছে। কিন্তু কেন, কি এমন রূপ বদলেছেন তিনি ‘কারার ঐ লৌহ কপাটের? তার উত্তর খোঁজার আগে আমরা জানি- বাংলা গানকে নতুন রূপে হাজির করার কাজ তিনি আগেও করেছেন।
‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস: আ ফরগটেন হিরো’ সিনেমার জন্য রবীন্দ্রসংগীত ‘একলা চলো রে’-এর সংগীতায়োজন করেছিলেন তিনি আগে। এ ছাড়া ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য’ গানটিও নিজের মতো করে সুরারোপ করেছেন। নজরুলসংগীত নিয়ে এবারই তার প্রথম কাজ করা।
সব বাদ দিলে মোটা দাগে- আসল কষ্টটা হলো নজরুলের মতোই দক্ষিণ ভারতীয় এ সুরকারও আমার খুব প্রিয় শিল্পী। গানের জগতকে নতুন করে যে পথ বাতলে দিয়ে সুরের মূর্ছনায় দুনিয়াকে ভাসিয়েছেন সেই তিনি একটি দেশের জাতীয় কবির কালজয়ী গান ‘কারার ঐ লৌহকপাট’-এর মূল সুরের ছিটেফোঁটাও রাখেননি তার সংস্করণে! একতারা আর বাঁশির সুরে গ্রামীণ বাংলার আবহ তৈরির চেষ্টা করেছেন তিনি। আর এতে লোকগীতির এক সুরেলা রোমান্টিক ঢং উঠে এসেছে। গানটি যে আদলে গাওয়া হয়েছে, তা সারি গানের কথাই মনে করিয়ে দেয়। শ্রমিকেরা ছাদ পিটিয়ে কিংবা বইঠার তালে তালে অথবা কাস্তের ঘাইয়ে যেভাবে গান গায়, যেন সেভাবেই শিল্পীরা কারাগারের তালা ভাঙতে চাইছেন।
তবে মূল গানের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ, বিধ্বংসী শক্তির ব্যাপারটি এ আর রহমানের নতুন সংস্করণের সুরে একেবারেই অনুপস্থিত। এ কারণেই মূলত কেউই তার এ গানকে সাদরে গ্রহণ করেননি। তুমুল সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে এ আর রহমানের সংগীতায়োজনে এ গানে বাঙালি শিল্পীরাই কণ্ঠ দিয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন তীর্থ ভট্টাচার্য, রাহুল দত্ত, পীযুষ দাস, শালিনী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। কিন্তু তাতে কি, শ্রোতা, অনুরাগী, শিল্পী, সুরকার, গীতিকবিদের প্রশ্নবান এই খোরা অজুহাতে এ আর রহমানকে একটুও ছাড় দেননি।
নতুন সংস্করণের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ শোনার পর কিছু মন্তুব্য দেখলে সহজেই অনুমান করা যায়- বিশেষ সম্মানের স্থান থেকে এ আর রহমানকে তারা কতটা দূরে সরিয়ে দিয়েছেন, কতোটা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন! পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী ও সুরকার রাঘব চট্টোপাধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, ‘ভারতের বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক মিস্টার এ আর রহমন “পিপা” ছবি থেকে “কারার ঐ লৌহকপাট” গানটি প্রকাশ্যে এনেছেন। সবচেয়ে শোচনীয় বিষয় হলো গানটি তার বিশেষ সম্পত্তি নয়। একজন বাঙালি হিসেবে আমরা এই এপিক গান শুনে বড় হয়েছি, যেটি লিখেছেন এবং সুর দিয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম। কিন্তু রহমন সাহেব যেভাবে মূল সুরে তার নিজস্ব তাল মিলিয়ে গানের রচয়িতা দাবি করেছেন, তা একজন বাঙালি গায়ক হয়ে আমি মোটেই মেনে নিতে পারছি না।’
বাঙালি প্রযোজক রানা সরকার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘রেসপেক্টটেড লিজেন্ড এ আর রহমান স্যার, “কারার ঐ লৌহকপাট” ভাঙতেই হবে—এই দিব্যি আপনাকে কে দিয়েছিল? নজরুল ইসলামকে না হয় ছেড়েই রাখতেন। ক্ষমা করবেন কাজী নজরুল।’
ইউটিউবের কমেন্টে একজন লিখেছেন, ‘মনটা জাস্ট ভেঙে গেল। এ আর রহমান এত সুন্দর গানটির পুরো বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘সঠিক সুরে সঠিকভাবে গানটি বানালে ভালো হতো।
আসল গানটা শুনলে যে অনুপ্রেরণা পাই, তার সিকিভাগ এটা শুনে আসছে না।’ অন্য এক শ্রোতার বক্তব্য, ‘আসল গানটা শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়, এটা কী বানিয়েছেন? জঘন্য।’ কেউ লেখেন আরও ভয়ংকর কথা—‘বিশ্বাস করতে পারছি না কোনো গানের আত্মাকে রহমান এভাবে খুন করতে পারেন!’, ‘ভীষণই বীতশ্রদ্ধ হলাম। কী যে খারাপ লাগছে শুনতে, কী আর বলি!’—এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
আবার আরেকজন লিখলেন, ‘এই বিখ্যাত গান নিয়ে ওঁকে কে ছ্যাবলামি করার স্পর্ধা দিয়েছে। উনি বিখ্যাত সুরকার বলেই যা খুশি তা করতে পারেন না।’ মন্তব্য-মতামতের ক্ষেত্রে কেউ কেউ আবার আরেক কাঠি সরেস। এক নেটিজেনের মন্তব্য উদ্ধৃত করছি, ‘এই কিছুক্ষণ আগে অবধি ভাবতাম, কাজী নজরুল ইসলামের “কারার ঐ লৌহকপাট”একটা রক্ত-গরম করা বিপ্লবী গান। ভুল ভাবতাম। আসলে এটা একটি রোমান্টিক গান। এ আর রহমান বোঝাল আমায়।’
হ্যা, এ কথা ঠিক যে, শত বছরের বেশি পুরোনো ‘ভাঙ্গার গান’ নিয়ে মেধাস্বত্ব জটিলতার কোনো বালাই নেই। তবে বাঙালির সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চেতনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গান।
বাঙালির জনসংস্কৃতির মধ্যে গানটির একটি বিশেষ আবেদন রয়েছে। বাঙালি যখনই অন্যায়, অনাচার ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে পথে নামবে, তখনই তার কণ্ঠে বাজবে ‘কারার ঐ লৌহকপাট’। বাঙালির সামষ্টিক অবচেতনে এ গান বিপ্লবের সমার্থক। এ গানের যে রোমান্টিক সংস্করণ এ আর রহমান তৈরি করলেন, তা বাজবে এমন একটি সিনেমায়, যার প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। রাজাকৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ‘পিপা’ সিনেমাটি স্ট্রিম করা হয়েছে অ্যামাজন প্রাইমে ১০ নভেম্বর থেকে। এ আর রহমান কী ভেবে এবং কেন গানটির এ সংস্করণ তৈরি করলেন, তা হয়তো সিনেমাটি দেখলেই বোঝা যাবে। কিন্তু ‘কারার ঐ লৌহকপাট’গানের সুর থেকে বিপ্লবী আবহ মুছে দিতে হলো কেনো?
এবার ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’এর ঐতিহাসিক দিকে চলুন একবার নজর দিয়ে দেখা যাক। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাস। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় পত্রিকা ‘বাঙ্গালার কথা’। একের পর এক ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামীরা তখন কারারুদ্ধ হচ্ছেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশও কারাবন্দী হলেন। তার স্ত্রী বাসন্তী দেবী ২২ বছর বয়সী কাজী নজরুল ইসলামের কাছে কবিতা চেয়ে পাঠালেন। তার আবেদনে সাড়া দিয়েই নজরুল লিখলেন কালজয়ী এক লেখা—‘ভাঙার গান’—‘কারার ঐ লৌহকপাট’। গানটি সেই সময় তোলপাড় তুলেছিল। সম্প্রতি এই ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ নতুন করে আলোচনায় এসেছে এ আর রহমান গানটিতে নতুন সুর দেওয়ার কারণে। সেই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলার আগে প্রথমে একটু বিস্তারিতভাবে জানা যাক এ গান লেখার প্রেক্ষাপট। এ বিষয়ে দুই বাংলায় সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব কমরেড মুজফ্ফর আহমদের ভাষ্য হলো, ‘আমার সামনেই দাশ-পরিবারের শ্রীসুকুমাররঞ্জন দাশ “বাঙ্গালার কথা”র জন্যে একটি কবিতা চাইতে এসেছিলেন।
শ্রীযুক্তা বাসন্তী দেবী তাকে কবিতার জন্যে পাঠিয়েছিলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তখন জেলে।...অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নজরুল তখনই কবিতা লেখা শুরু করে দিল। সুকুমাররঞ্জন আর আমি আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ পরে নজরুল আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে তার সেই মুহূর্তে রচিত কবিতাটি আমাদের পড়ে শোনাতে লাগল।...নজরুল “ভাঙার গান” লিখেছিল ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসের কোনো এক তারিখে। “ভাঙার গান” “বাঙ্গালার কথা”য় ছাপা হয়েছিল।’(কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা)
১৯২৪ সালে কাব্যগ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয় ‘ভাঙ্গার গান’। এর আগে ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ কবিতা আকারে ছাপা হয়েছিল, যার কথাই বলছেন মুজফ্ফর আহমদ। শোনা যায়, হুগলির জেলে দেশবন্ধুর সঙ্গে এই অন্য বন্দীরাও গেয়ে উঠতেন ‘কারার ঐ লৌহকপাট’। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শক্তি জুগিয়েছে এ গান। এর প্রলয়ংকরী সুর ভয় ধরিয়েছে শাসকের মনে। ‘বিদ্রোহী’র পাশাপাশি ‘ভাঙ্গার গান’ও নিষিদ্ধ করে ইংরেজ সরকার।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল এই গানের শক্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামেও এ গান জুগিয়েছে অনুপ্রেরণা। ১৯৭০ সালে মুক্তি পায় জহির রায়হান পরিচালিত সিনেমা ‘জীবন থেকে নেয়া’। সেই চলচ্চিত্রে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কারারুদ্ধ রাজনৈতিক বন্দীরা যখন গেয়ে ওঠেন—‘কারার ঐ লৌহকপাট’, তখন যেন সব বাঙালির রক্ত টগবগ করে ফুটে ওঠে।
আলতাফ মাহমুদের সুরে এবং খান আতাউর রহমানের সংগীতায়োজনে আজও এ গান মুক্তিকামী বাঙালির সংগ্রামী চেতনার প্রতীক হয়ে আছে। এমন একটি শক্ত ভিতকে নাড়িয়ে দিয়ে অকষ্মাৎ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের চিরচেনা, গণমানুষের মুক্তির গানটিকে ভেঙ্গে তছনছ করতে হলো কেন এ আর রহমানকে? সিরফ টাকার জন্য? কারার ঐ লৌহ কপাট ভাঙ্গতে কত টাকার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলেন রহমান? কষ্টটা সেখানে, তিনি নিজে একজন সৃষ্টিশীল মানুষ, আমরা জানতাম সুরের ইন্দ্রজালে মোহাবিষ্ট করার জাদুকরী শক্তিতে উজ্জীবিত তিনি।
অস্কারজয়ী এই শিল্পী কি জানতে না, একটি মৌলিক সুর সৃষ্টিতে কতোটা আত্মনিয়োগ করেন একজন সুরকার? গানের বাণী সৃষ্টিতে কতোটা ধ্যানমগ্ন থাকতে হয় একজন কবিকে? একজন সঙ্গীত আয়োজককে কতো রাত না ঘুমিয়ে গানের আবহ, নানা বাদ্যযন্ত্র ও যন্ত্রীদের নিয়ে কাটাতে হয়? তিনি কি জানেন না, এভাবে অনেক ত্যাগ, শ্রম, সময়, অধ্যবসায় আর একনিষ্ঠ আত্মনিয়োগের পর সৃষ্টি হয় সকলের প্রিয় একটি কালজয়ী গান! তবে কেনো ভাঙতে গেলেন কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’কে? তারপরও বলছি- “কারার ঐ লৌহ কপাট” ভেঙে আপনি কোটি নজরুল ভক্তের হৃদয়ই ভেঙেছেন, এ আর রহমান!
লেখক: সাংবাদিক ও বিশ্লেষক