ছবি- সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
৪ জুলাই এ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। কারণ হিসেবে ওই সময় বলা হয়েছিল ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকবেন বিধায় বৈঠকটি হচ্ছে না।
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি নিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করাসহ তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। কর্মসূচিতে বন্ধ আছে শ্রেণিকক্ষ ও অফিস। এ কারণে ক্লাস–পরীক্ষাও হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
মঙ্গলবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেন, তাদের চলমান এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে ব্যাখ্যায় বলেছে, ১ জুলাই থেকে এ স্কিম যাত্রা করেছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই বা এরপর যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। ১ জুলাইয়ের আগে যোগদানকারীরা পুরোনো নিয়মেই পেনশন পাবেন। অনুরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও।
এক বার্তায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্পষ্টীকরণ ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আমরা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চাচ্ছি
আমাদের তিনটি মূল দাবি রয়েছে- প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন।