ফাইল ছবি
ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। সেদিনই সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারত পালাতে বাধ্য হন। এখন পর্যন্ত তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন।ক্ষমতাচ্যুতের পর একবার বিবৃতি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
তবে সম্প্রতি দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়।
এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী টাইমস ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, তার (শেখ হাসিনা) নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
নির্বাচনে নিজের অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন জয়। তিনি বলেন, ‘আমার কখনোই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কে জানে? আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মা বেশ বিচলিত এবং হতাশ বলে জানিয়েছেন জয়।তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে তার সব কঠোর পরিশ্রম অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “কোটা আন্দোলনে আমরা সবাই অবাক হয়েছি। আমি নিজেও চেয়েছিলাম কোট সংস্কার হোক। আমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেছিলাম, ৩০% কোটা অনেক বেশি, তা কমিয়ে ৫% করা উচিত। তখন কেউ কেউ চিৎকার করে বলল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি।তখন আমি মজা করে বলেছিলাম, ‘এ কারণেই আমি ৫% ছেড়ে দিয়েছি।’”
অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি তারা এক বছর বা ১৮ মাস দেশ চালাতে চায়, তাহলে আমি বলব এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।’
অনেক মহল থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে, এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে কিভাবে নিষিদ্ধ করবেন? এটা আইনত সম্ভব নয়।’