ছবি- সংগৃহীত
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেছেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কোনো বিতর্কিত প্রশ্ন নয়, মুক্তিযুদ্ধ একটি মিমাংসিত প্রশ্ন। ৩০ লাখ মানুষ যার জন্য জীবন দিয়েছে। ৫ হাজার বছরের ইতিহাসের মধ্যে আমার মুক্তিযুদ্ধ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ মুক্তিযুদ্ধকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিতর্কিত করার কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিল। এটা কোনো বিতর্কিত বিষয় নয়। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান গ্রহণ করেছিলাম। এটা কোনো পারিবারিক দিবস নয়।
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে ওয়ার্কার্স পাটির এ নেতা বলেন, ‘কয়েকটি পারিবারিক দিবসকে যেগুলো জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, তা বাতিল করেছেন ভালো কথা। কিন্তু ৭ মার্চ ও ৪ নভেম্বর এগুলো কোনো পারিবারিক দিবস নয়।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে সমস্ত জাতীয় দিবসকে আপনারা পারিবারিক দিবসের সাথে যুক্ত করে বাতিল করছেন, মিমাংসিত বিষয়গুলোকে আপনারা নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়।’
ওয়ার্কার্স পার্টির এ নেতা আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বৈষম্যহীন মানবিক সাম্যভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলার জন্য সমগ্র জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা। নতুন কোনো বিভাজন ও নতুন কোনো বিভক্তি আমরা দেখতে চাই না। সমাজের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করা, বিভক্তি-বিভাজন তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব নয়।
সংগঠনটির লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি মাহবুবুল করিম টিপুর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ জেলা সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান ও ছাত্র নেতা ফাইজুর রহমান মনির।
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন যে উর্ধগতি তা নিয়ন্ত্রণ না করে শুধুমাত্র সংস্কারের কথা বললে মানুষের পেট ভরবে না।
এসময় তিনি বলেন, ‘১৬ বছরের যে আওয়ামী সিন্ডিকেট তা এখনও পর্যন্ত বহাল তবিয়তে আছে। কেন আপনারা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না? সিন্ডিকেটকে ভেঙে দিন, বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করুন। মানুষকে বাঁচার ব্যবস্থা করুন।’