ফাইল ছবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল কর্মীদের হট্টগোলের ঘটনা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছে ভেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে শাখা ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট ভবনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. জিহান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জিহান বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দুই তলায় দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলাম।
নিচে ছাত্রদলের ছেলেরা নিজেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি করছিল। আমার হাতে ফোন ছিলো। এটা দেখে তারা নিচ থেকে দোতলায় উঠে আমাকে চড়-থাপ্পড়, লাথি দেয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরো বলেন, তারা যখন আমাকে মেরেছে তখন আমি বারবার বলছিলাম আমার ফোন চেক করে দেখেন কোথাও ছবি আছে কিনা।
ছবি থাকলে আপনারা আমারে মাইরেন। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। বিশেষ করে রায়হান নামের একজন সে খুবই বাজে ব্যাবহার করেছে। ওখানে আমার একটা মেয়ে ফ্রেন্ড ছিলো তাকেও মারতে গেছিলো ওরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, আমি বারবার বলছি আমি জগন্নাথের স্টুডেন্ট। বাইরের কেউ না। তারা মনে করেছে আমি ক্যাম্পাসের বাইরের কেউ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদলের সাবেক কমিটির সদস্য রায়হান বলেন, আমরা নিজেরা নিজদের বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। তখন কয়েকজন দেখে যে ওই ছেলের ফোন এমনভাবে ধরে রেখেছে, মনে হচ্ছিল আমাদের ভিডিও করছে।
তখন আমাদের কয়েকজন উপরে যায়। আমি পরে যাই। এ সময় তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। আমাদের ভিডিও করছিল কিনা জিজ্ঞাসা করলে সে আমাদের দিকে তেড়ে আসে।
মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই পরিস্থিতিতে হয়তো তার গায়ে হাত-পা লেগে যেতে পারে। আমি যখন জেনেছি সে আমাদের ক্যাম্পাসের, তখন তার কাছে যেয়ে সরি বলেছি। অভিযুক্ত সদস্য রায়হান জবি ছাত্রদলের সাবেক কমিটির সদস্য এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার অনুসারী।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, এ বিষয়ে আমার অবগত না। ভুক্তভোগী আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। সে অভিযোগ করলে আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নিব।
এর আগে ১৭ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ার পূর্ব পাশে শিক্ষার্থীদের মারামারির ছবি ও ভিডিও করায় দৈনিক কালের কণ্ঠের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. জুনায়েত শেখকে মারধর করে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।