ছবি- সংগৃহীত
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর টাকা কোথা থেকে আসে জানতে চেয়েছেন বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।বুধবার দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ইঙ্গিত করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘নতুন ধারার রাজনীতি কেমন যে দল গঠনের আগেই কোটি টাকার সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা হয়? এমন রাজনীতি কীভাবে চলতে পারে যেখানে একেকজনের গাড়ি বহরে ১৫৫ থেকে ১৬০টি গাড়ি থাকে? এই টাকা আসে কোথা থেকে?’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককেই নিজের এলাকায় বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। আপনারাই তো বিএনপির প্রতিচ্ছবি, তাই আপনারা এমনভাবে চলুন যেনো মানুষ বিএনপিকে আরও ভালোবাসে, আপনাদের দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয়। বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করে। ’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বিএনপি তার ইতিহাসে কখনো কারচুপির নির্বাচন করেনি, সমর্থনও করে না। ভবিষ্যতেও কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে না। বিএনপি সংসদে যাবে মানুষের সমর্থন, ভালোবাসা ও আস্থার ভিত্তিতে। বিএনপি ১৭ বছর ধরে নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এখনো সেই আন্দোলন চলছে। কারণ বর্তমানে দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই, আছে অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির এ লড়াই চলবে।’
আওয়ামী লীগকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাদের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কারণেই তারা রাজনীতিতে আসতে পেরেছে। এই দেশে আওয়ামী লীগ সবসময় বিরোধীমতকে দমন করেছে। মানুষকে কথা বলতে দেয়নি, গ্রামে থাকতে দেয়নি, হামলা-মামলা দিয়ে জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এ কারণেই তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেননি। ৭৬ বছর বয়সে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৭ বছরের আন্দোলনের ফলেই আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। বাংলাদেশ নামের সঙ্গে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জিয়া পরিবার দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। জিয়া পরিবার ভালো থাকলে দেশ ও জনগণ ভালো থাকে।’
তিনি নতুন বাংলাদেশ ও সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিভিন্ন দল এসব কথায় কথায় ব্যবহার করলেও এসবের জনক এবং স্বপ্নদ্রষ্টা বিএনপি ও তারেক রহমান।’
কর্মশালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় ও বিভাগীয় নেতারা অংশ নেন। আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ন্যূনতম সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়া যাবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের লড়াইয়ের মাটি কিন্তু কঠিন এবং আগের চেয়ে অনেক বিপদসংকুল।’
এ সময় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ আরও অনেকে।
