ফাইল ছবি
যুদ্ধবিদ্ধস্ত লেবানন থেকে আরও ১৮৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ৩২ জন দুবাই হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এছাড়া জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় অপর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১৫১ জন দেশে ফিরেছেন একই সময়ে। ফিরিয়ে আনা এসব প্রবাসীদের রাতে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো. রুহুল আমিন এবং আইওএম’র বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে এ পর্যন্ত মোট ৩৭০ বাংলাদেশিকে এবং আইওএম স্পন্সরে ১৫১ জনকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। আইওএম’র পক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসন করা প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিক্যাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
এর মধ্যে গত ২১ অক্টোবর প্রথম দফায় ফেরত এসেছেন ৫৪ জন। ২৩ অক্টোবর দুটি ফ্লাইটে ৯৬, ২৮ অক্টোবর মধ্যরাতে ৩০, ২৯ অক্টোবর রাতে ৩৬, ৩১ অক্টোবর ৫২ জনকে এবং ৩ নভেম্বর ৭০ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিমানবন্দরে মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘যারা আসতে ইচ্ছুক আমরা ক্রমান্বয়ে তাদের সবাইকে নিয়ে আসছি। সেখানে যুদ্ধাবস্থা চলছে। থাকার মতো পরিবেশ নেই। দূতাবাসে ১ হাজার ৮০০ জন নিবন্ধন করেছেন দেশে ফেরার জন্য। এছাড়া আমরা সেখানে বাস্তুচ্যুত প্রবাসীদের সহায়তার জন্য ৪৬ হাজার ডলার দিয়েছি। পাশাপাশি ফ্লাইটের খরচ বহন করে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান হলে যারা কাজ হারিয়ে ফেরত আসছেন তাদের নিয়োগকর্তা যদি ফিরিয়ে নিতে চান আমরা সহায়তা করবো।’
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী ফিরে আসতে চান, তাদের সবাইকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। বৈরুত থেকে দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন এবং যে সব প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।