ছবি: সংগৃহীত
সপ্তাহব্যাপি নানা আয়োজন ও কর্মসূচিতে বাংলাদেশে পালিত হলো ওয়ার্ল্ড অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস আউটরিচ ক্যাম্পেইন ও সিম্পোজিয়ামে বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করে।
গত ১৮ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি গুচ্ছ অনুষ্ঠানমালায় শিক্ষার্থী, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
এবারের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহের বৈশ্বিক থিম ছিল, ‘এডুকেট, এডভোকেট অ্যান্ড অ্যাক্ট নাও’। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস বাংলাদেশে কর্মসূচি প্রচারে ট্যাগলাইন নির্বাচন করে, ‘একসাথে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর বিরুদ্ধে: সচেতনতা, অ্যাকশন এবং প্রভাব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাজধানী ঢাকা শহরের দশটি স্কুলে এ প্রচার প্রচারণা চালায়। তারা মৌখিক উপস্থাপনা, প্রশ্নোত্তর সেশন এবং তথ্যমূলক ফ্লাইয়ার বিতরণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের যুক্ত করে এবং কার্যকরভাবে এএমআর এর বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়।
কর্মসূচির সমাপনীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী লেকচার গ্যালারিতে আয়োজিত সিম্পোজিয়ামে তিনজন বিশিষ্ট গবেষক বিষয়টির গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করে তাদের গবেষণা নিবন্ধ উপস্থান করেন। তারা হচ্ছেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালযয়ের ভেটেরিনারি সায়েন্সেস অনুষদের অধ্যাপক মোঃ তানভীর রহমান (পশু স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এএমআর), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অণুজীববিদ্যা এবং ইমিউনোলজি বিভাগের ডাঃ শাহেদা আনোয়ার (এএমআর-এর মানব স্বাস্থ্যের প্রভাব), এবং ডাঃ মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম (মহামারী সম্ভাবনার সাথে এএমআর প্যাথোজেনের বিবর্তনীয় গতিপথ)।
বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস (বিএসএম) এর সভাপতি ড. মুনিরুল আলম তাঁর প্রারম্ভিক বক্তব্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল স্টুয়ার্ডশিপের প্রচারে সমাজের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্রান্ট বাংলাদেশের টিম প্রধান অধ্যান ড. শাহ মনির হোসেন এএমআর নিয়ন্ত্রণে তার টিমের চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আক্তার হোসেন খান, এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমাজের অবদানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বিএসএম-এর প্রভাবশালী উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সিম্পোজিয়ামটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সঙ্গীতা আহমেদ।
সমাপনী বক্তৃতায়, বিএসএম-এর সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল স্টুয়ার্ডশিপের জাতীয় কৌশলগুলিকে প্রভাবিত করতে নীতিনির্ধারকদের এবং মিডিয়াকে সহায়তা করার জন্য সুপারিশগুলির সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন। তিনি অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য বিএসএম-এর সেমিনার ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং সিম্পোজিয়াম আয়োজনে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক শাকিলা এন খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।