![বিপিএলের ড্রাফট সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিপিএলের ড্রাফট সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/bpl-2407011902.jpg)
ছবি- সংগৃহীত
আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাঠে গড়ানোর কথা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরবর্তী আসর। ইতিমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। এবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন জানালেন, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে আগামী আসরের খেলোয়াড় ড্রাফট। তবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের টানা খেলার বিষয় বিবেচনা করে এবার প্রয়োজন হলে সূচিতে বদল আনতে পারে বিসিবি।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান। তিনি বলেন বিপিএলে গত আসরে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ দল আগামী আসরেও থাকছে। তবে এখনও দুই-একটি দল নিশ্চিত করেনি অংশ নেওয়া।
সুজন বলেন, ‘বিপিএলের গত আসরে যারা খেলেছে, তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। বেশির ভাগ দল (আগামী আসরে) অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। দু-একটা দল এখনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা জানালে পরের পদক্ষেপ ঠিক করব। আমরা এরই মধ্যে একটা সময় নির্ধারণ করেছি প্লেয়ার্স ড্রাফটের।
এরপর ধাপে ধাপে এগিয়ে যাব। প্লেয়ার্স ড্রাফট সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে।’আগামী ডিসেম্বরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে বাংলাদেশ। সফরটা হবে প্রায় এক মাসের দীর্ঘ। এরপর দেশে ফিরে দেড় মাসের বিপিএলে অংশ নেবেন ক্রিকেটাররা। সেটা শেষ করেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তান উড়াল দেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে। ফলে ক্লান্তি ক্রিকেটারদের পেয়ে বসতে পারে। এ কারণে বিপিএলের সময় এদিক-ওদিক করার গুঞ্জন ছিল। এর আগে গত আসরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে বিপিএলের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে সুজন বলেন, প্রয়োজন হলে সূচি এগিয়ে বা পিছিয়ে নেওয়া হতে পারে। এছাড়া গত আসরে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকই বিপিএলের সময় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি ছিল এমন সময়ে আয়োজন করা যখন বিদেশী খেলোয়াড়রা পুরো সময় খেলতে পারেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের দাবি নিয়ে কথা না বললেও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের স্বার্থে অন্তত আগামী আসরে এই পথে হাঁটতে পারে বিসিবি।
সুজন বলেন, ‘এফটিপিতে (ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা) আমাদের যে কমিটমেন্ট থাকে বা আইসিসির মেজর ইভেন্টে আমাদের যে কমিটমেন্ট থাকে, তার সঙ্গেই আমরা এডজাস্ট করে নিই। যদি কোনো ক্ষেত্রে ফাইন টিউনিং প্রয়োজন হয়, সেটা আমরা করে নেব।’
এদিকে আগামীকাল দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা। যদিও আলোচ্য সূচির মধ্যে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের আলোচনাই গুরুত্ব পাবে। তবে কয়েকদিন আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আসা বাংলাদেশ দলের পারফর্মেন্সও থাকবে সভার আলোচ্য বিষয়।
এ প্রসঙ্গে সুজন বলে, ‘সভায় রুটিন বিষয়গুলোর বাইরে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে বোর্ডে আলোচনা হবে। আর বাংলাদেশ দল আইসিসি বা এসিসির কোনো টুর্নামেন্ট খেলে আসার পর পারফরম্যান্স নিয়ে যে আলোচনা হয়, এটাও আলোচনায় থাকবে। গেম ডেভেলপমেন্ট এবং গ্রাউন্ডস ও ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।’