ছবি- সংগৃহীত
বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে টিকিট থাকার পরেও ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বড় অঙ্কের টাকায় টিকিট কিনে ঢুকতে না পারায় দর্শকদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ করা গেছে। ক্ষুব্ধ জনতা একসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চাপ দেয়া শুরু করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
পরিস্থিতির সূত্রপাত হয় রাত সোয়া ৮টার দিকে। রাত ৮টায় কোনো নোটিশ ছাড়াই নিরাপত্তাকর্মীরা স্টেডিয়ামের প্রতিটি গেট বন্ধ করে দেয়ায় অনেক দর্শকই বাইরে থেকে যান। এ সময় টিকিট নিয়ে অনেকেই ঢুকতে গিয়ে ব্যর্থ হন। নিরাপত্তাকর্মীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে গেট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী সময় সংবাদকে জানান, ‘সময় শেষ হওয়ায় গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’ আজকের কনসার্টের জন্য বিসিবির পক্ষ থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশেরে সময় বেধে দেয়া হয়েছিল আড়াইটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত। তবে দর্শক ঢুকতে দেয়া হয়েছে ৮টা পর্যন্ত।
সাড়ে চারটা পর্যন্ত গেট খোলা রাখার নিয়ম থাকলেও ৮টা পর্যন্ত কেন ঢুকতে দেয়া হলো তার ব্যাখ্যায় ওই নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ম্যানেজমেন্টের (বিসিবি) সিদ্ধান্ত।’
বড় অঙ্কের টাকায় টিকিট কিনেও প্রিয় শিল্পীর কনসার্ট উপভোগ করতে না পারায় কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকরা।
৬ হাজার টাকার চারটি টিকিট কিনে পরিবারসহ কনসার্ট দেখতে এসেছিলেন মিরাজুল ইসলাম। ঢুকতে না পেরে হতাশ হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চাকরি করি। অফিস থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় সময়মতো আসতে পারিনি। পরিবার নিয়ে কনসার্টে যাব ভেবেছি, সেটা আর হলো না। অর্থনৈতিক ক্ষতি তো থাকছেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের কাজ থাকতেই পারে। আর নিয়ম যদি থেকেই থাকে, সাড়ে চারটার পর কেন ঢুকতে দেয়া হলো। আমি বাসা থেকে জেনে এসেছি এখনও ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। তাই এই জ্যাম ঠেলে এসেছি। এখন দেখছি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এটা পুরোটাই বিসিবির অব্যবস্থাপনার ফল।’
ঢুকতে না পেরে দর্শকরা ক্ষুব্ধ হয়ে এক পর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করেন। এ সময় সেনাবাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করতে লাঠিচার্জ করে। ঢুকতে না পারা দর্শকরা এ সময় সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ দুয়োধ্বনি দেন।
আসন্ন বিপিএল উপলক্ষে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে কনসার্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কনসার্টে গান পরিবেশ করেন পাকিস্তানের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান। এছাড়া বাংলাদেশি ব্যান্ডের মধ্যে অ্যাভোয়েডরাফা এবং মাইলস পারফর্ম করেছে।