
ছবি- সংগৃহীত
আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারদের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহামেডানের তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু এক ম্যাচ পরই বিসিবি তার নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ফেলে। হৃদয় এরপর দুটি ম্যাচ খেলেন, কিন্তু সমালোচনার মুখে বিসিবি হৃদয়কে আবার এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে। এই পুরো ব্যাপারটি হাস্যকর লেগেছে তামিম ইকবালের কাছে।
হৃদয়ের এই নিষেধাজ্ঞা ইস্যু ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই ক্রিকেটারের সন্দেহজনক ফিক্সিং ইস্যুতে শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডাকেন তামিম ইকবাল। তাতে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় পৌনে ৬টা নাগাদ। সেখানে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা সাংবাদিকদের অবহিত করেন তামিম।
ফারুক আহমেদের সঙ্গে এই দুটি ইস্যুতেই তামিমদের কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হৃদয়কে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কথা বলেনি। আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারি মিলে তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে...। কিছুদিন পর দেখলাম যে দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচ করা (নিষিদ্ধ) হয়েছে, এটা বিসিবি করেছে। তখনও আমরা কিছু বলিনি। হৃদয় একটা ম্যাচ না খেলে পরের দুইটা খেলে। বেসিক্যালি ওর যে শাস্তি ছিলো, সেটা কিন্তু শেষ। দুইটা ম্যাচ খেলার পর আবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা কোন নিয়মে, কীভাবে করছে, আমার জানা নাই।...বিষয়টা হাস্যকর লেগেছে।’
গত ৯ এপ্রিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই খেলোয়াড়ের সন্দেহজনক কাজে অনেকেই ফিক্সিংয়ের গন্ধ পান। এটা নিয়ে পরে বিসিবি তদন্ত শুরু করে, যদিও তদন্তের প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ। বৈঠকে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তামিম বলেন, ‘কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন, গুলশান আর শাইনপুকুরের ম্যাচে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা বোর্ডকে বলেছি, যদি সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়ে থাকে, তবে আমরা সবাই চাই এর শাস্তি হোক। কিন্তু ওই দুইটা ছেলেকে ডেকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন, বিশ্বে এরকম কোথাও নিয়ম নাই, তাদের বে-ইজ্জতি করার।’