![২০১৬ সালে পোর্ট ব্লেয়ারগামী নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার ২০১৬ সালে পোর্ট ব্লেয়ারগামী নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/plane-2401122140.jpg)
ফাইল ছবি
২০১৬ সালে নিখোঁজ হয়েছিল ভারতীয় বিমানবাহিনীর এএন-৩২ বিমান। চেন্নাইয়ের উপকূলের কাছে বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল বিমানটি। তার পর অনেক খোঁজাখুঁজির কাজ চলেছে। কিন্তু কোনোভাবেই বিমান বা সেটির ধ্বংসাবশেষের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।
অবশেষে চেন্নাই উপকূল থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানের খোঁজ চালানোর জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশেন টেকনোলজি একটি ‘অটোনোমাস ইউটিলিটি ভেহিকল’ (এইউভি) তৈরি করে। ঠিক কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছিল বিমানটি তা চিহ্নিত করার জন্য গভীর সমুদ্রে এই যন্ত্রটি দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল।
সমুদ্রের তিন হাজার ৪০০ মিটার গভীরে ‘মাল্টি-বিম সোনার’, ‘সিন্থেটিক অ্যাপার্চার সোনার’ এবং হাই রেজল্যুশনের ছবির মাধ্যমে তল্লাশি চালাচ্ছিল এইউভি। সেই তল্লাশি চালানোর সময় চেন্নাই উপকূল থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মেলে।
বিমানবাহিনী সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি বলেছে, তল্লাশির সময় এইউভি যে ছবি তুলেছে সেই ছবি ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তা ছাড়া যে জায়গায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, আগে কখনো ওই জায়গায় কোনো বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলেও জানিয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশেন টেকনোলজি।
তাই তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, যে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে, সেটি এএন-৩২ বিমানেরই।
আনন্দবাজার অনুসারে, ২০১৬ সালের ২২ জুলাই এএন-৩২ বিমানটি চেন্নাইয়ের তাম্বারান বিমানঘাঁটি থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় উড়েছিল। বিমানে ২৯ জন ছিলেন। পৌনে ১২টা নাগাদ পোর্ট ব্লেয়ারে নামার কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু ওড়ার ১৬ মিনিট পর পাইলটের শেষ বার্তা ছিল ‘সব কিছু ঠিক আছে’।
২৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ওঠার পর সেটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পর আট বছর কেটে গেছে। অবশেষে সেই রহস্যের অবসান হলো বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় বিমানের যাত্রীদের কারোরই দেহ মেলেনি।