ছবি- সংগৃহীত
পর্যটন শিল্পে গতি ফেরাতে আগামী ১৯-২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শুরু হচ্ছে ১১তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৪। তিনদিন ব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় মেলার উদ্বোধন হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার তারিখ ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক দিক-নির্দেশনায়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, ট্যুরস্টি পুলিশ বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবার ১১তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৪ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মালদ্বীপ, চায়না, ফিলিপিন, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভুটান, সিঙ্গাপুরের প্রায় শতাধিক পর্যটন সংস্থা অংশ নেবে। মেলায় থাকবে আসন্ন পর্যটন মৌসুমে দেশ ও বিদেশে বেড়ানোর বিভিন্ন আকর্ষণীয় ভ্রমণ অফার, হোটেল, রিসোর্ট বা প্যাকেজ বুকিংসহ বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজলাইন্স, এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর ও থিমপার্কসহ বিনোদনের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া মেলায় বৈচিত্র্যময় আয়োজনে থাকবে পর্যটনবিষয়ক সেমিনার, শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) মিটিং। মেলার প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে চায়না, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই মেলার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হবে। মেলার টাইটেল স্পন্সর- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, প্রাইম পার্টনার কান্ট্রি- মালদ্বীপ, হোস্ট কান্ট্রি- বাংলাদেশ, হসপিটালিটি পার্টনার- ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা। ব্যাংক পার্টনার- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, রিসোর্ট পার্টনার- ছুটি গ্রুপ, ট্রান্সপোর্ট পার্টনার- কনভয় সার্ভিস, কানেকটিভিটি পার্টনার- এডিএন টেলিকম, ক্রুজ পার্টনার- ঢাকা ডিনার ক্রুজ। মেলার প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা, প্রবেশ কুপনের বিপরীতে র্যাফেল ড্র বিজয়ীদের জন্য থাকবে এয়ারলাইন্স টিকিটসহ বেড়ানোর আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার।
সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক ও এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, পর্যটন শিল্পে গতি ফেরাতে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণকে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় করা এবং আঞ্চলিক পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সেতুবন্ধন করাই এই মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত ও বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশও হতে পারে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্য। পর্যটন একটি বহুমাত্রিক শিল্প। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অগ্রাধিকার বিবেচনায় পর্যটন শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অসীম সম্ভাবনাময় মাধ্যম। এজন্য দরকার যথাযথ পদক্ষেপ সমন্বিত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, ঢাকায় মালদ্বীপ হাইকমিশনের থার্ড সেক্রেটারি আশিথ শামলা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মোহাম্মদ শামসুল করিম, টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক ওলিভার লোরেক্স, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচএম হাকিম আলী, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) সভাপতি মো. খবির উদ্দিন আহমেদ, বিডি বাউন্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রেজাউল ইকরাম, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি আইএসসি’র জেনারেল সেক্রেটারি শহিদ হোসাইন শামীম, প্ল্যানিং বাংলাদেশ প্রজেক্ট করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার মো. জিয়াউল হক হাওলাদার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এয়ার লাউঞ্জ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বুথের হেড অব ব্র্যান্ড রোজার ইবনে আজাদ।