ছবি- সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়া ও নরওয়ের পর এবার কানাডায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি যাত্রীবাহী বিমান। এয়ার কানাডার বিমানটি দেশটির হ্যালিফ্যাস্ক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় প্রচণ্ড গতিতে পিছেলে গিয়ে এতে আগুন ধরে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন মতে, রোববার এয়ার কানাডার এসি২২৫৯ বিমানটি কানাডার সেন্ট জন’স বিমানবন্দর থেকে হ্যালিফ্যাস্ক বিমানবন্দরে আসে। কিন্তু অবতরণের সময় ঘটে দুর্ঘটনা। তবে বিমানে থাকা প্রায় ৮০ জন যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
হ্যালিফ্যাস্ক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রানওয়ে দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে পিছলে যাচ্ছে একটি বিমান। বিমানের এক অংশে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন।
দুর্ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার স্বার্থে রানওয়ে এবং এর আশপাশের এলাকা পরিদর্শন ও মেরামত কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে অবতরণের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহী নিয়ে জেজু এয়ারে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি সবাই নিহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপর নরওয়েতে একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে এ ঘটনায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
খবরে বলা হয়েছে, রোববার নরওয়ে থেকে নেদারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। তবে উড্ডয়নের পরপরই কোনো কারণে এটি আবারও বিমানবন্দরে ফিরে আসে এবং জরুরি অবতরণ করে। এ সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে।
গত বুধবার কাজাখস্তানে আকতাউয়ে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়।
জীবিত উদ্ধার করা হয় ২৯ জনকে। বিমানটি রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছিল বলে জানিয়েছে আজারি কর্তৃপক্ষ।