ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌযান চলাচল বন্ধের বিষয়টি জানায়।
ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এখন বাংলাদেশের উপকূলের অনেক কাছে। এ অবস্থায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরের মধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। তাই এসময় সাগর ও নদীতে নৌযান চালানো বিপজ্জনক।
পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশের নদীপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময় সকল নৌযানকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে আবারও অনুরোধ করেন ইসমাইল হোসেন।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ উপকূল অতিক্রম করবে। আর সন্ধ্যায় মধ্যেই পটুয়াখালীর ক্ষেপুপাড়া দিয়ে প্রবেশের কারণে, ভোলা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বরগুনা, লক্ষীপুর এলাকায় ভারী বর্ষণ হবে।এসময় উপকূলীয় এলাকায় পানি ৩ থেকে ৫ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ৷