ফাইল ছবি
মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে মেইল/এক্সপ্রেস/লোকাল/কমিউটার ট্রেন চলাচল। ২৪ দিন পর এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেনগুলো। এর আগে সোমবার থেকে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
গত ১১ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খান এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মালবাহী ট্রেন ১২ আগস্ট থেকে, মেইল/এক্সপ্রেস/লোকাল/কমিউটার ট্রেন ১৩ আগস্ট থেকে এবং আন্তঃনগর ট্রেন ১৫ আগস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে চলাচল করবে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা যাবে ১২ আগস্ট (সোমবার) বিকেল ৫টা থেকে। তবে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ১৯ জুলাই থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের কোচে আগুন দেওয়াসহ কোচের দরজা ও জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের ১৩টি কোচের ৫৮টি জানালা ও ১৮টি দরজা, জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি কোচের জানালা এবং পারাবত এক্সপ্রেসের ১৬টি কোচের ১৪১টি জানালা ও ২৭টি দরজার কাচ ভাঙচুর করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে রেকগুলো ময়মনসিংহে ও আখাউড়ায় রয়েছে। বেজ স্টেশন এবং পাহাড়তলী শেডে পাঠিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলো মেরামত করতে হবে, যা করতে সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা-জামালপুর-ভূঞাপুর-ঢাকা রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে পারাবত এক্সপ্রেস চলাচল করে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধাপে ধাপে বন্ধ হয় ট্রেন চলাচল। তবে হাসিনা সরকারের কারফিউ জারির পর ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল । এর মধ্যে সীমিত পরিসরে গত ১-৩ আগস্ট পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চলাচল করেছে।