ফাইল ছবি
দীর্ঘ সময় পর রাজধানীর রামপুরা, মহাখালী ও মিরপুর সড়ক থেকে সরে গেছেন বিক্ষোভকারী অটোরিকশার চালকরা। ফলে এসব সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে টানা পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৯টার পর রামপুরা, মহাখালী রেলগেট ও মিরপুর-১০ নম্বর সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন চালকরা। ফলে রাজধানীতে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচলও। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন বাস ও ট্রেনের যাত্রী এবং গাড়ি চালকরা। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় দুপুরের পর ধীরে ধীরে যানজট ছাড়তে শুরু করেন। দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল রামপুরায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সরিয়ে দেন। ফলে রামপুরা-মালিবাগ ও রামপুরা-বাড্ডা সড়কের দুই পাশ দিয়েই যানচলাচল শুরু হয়েছে।
পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় পর মহাখালীর রেলগেট এলাকায়ও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষোভকারীরা সরে গেলে বনানী থেকে যান চলাচল শুরু হয়।
মিরপুর-১০ নম্বর চত্বর থেকেও সরে গেছেন বিক্ষোভকারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রাস্তা থেকে সরে গেছেন। ফলে সেখানেও গাড়ি চলাচল করছে। এদিকে, টানা পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল সোয়া ৩টায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে ১৯ নভেম্বর ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর থেকেই ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা।