ফাইল ছবি
বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনায় বাস ভাঙচুর করার জেরে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। সোমবার এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, ঘাতক বাস ছাড়াও আরো অন্তত ৩টি বাস ভাঙচুর করা হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখেন।
সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের বাসের চালক অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে বাস ভাঙচুর করা সন্ত্রাসী কাজ। আমরা এর বিচার চাই। আমাদের অন্তত ৪টি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার অভাবে আমাদের চালকরা সোমবার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, সোমবার রাতের মধ্যে প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরো সিলেট জেলায় কর্মবিরতি পালন করবেন বাসচালক ও শ্রমিকরা। আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করবে বাকি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোও।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করছে না বলে জানতে পেরেছি।
বাস ভাঙচুরের দাবি করে রবিবার রাতে হেলাল মিয়া নামের একজন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
গত রোববার সকালে জকিগঞ্জের কামালগঞ্জ আব্দুল মতিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে এক জায়গায় (সড়কের পাশে) শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিল। হঠাৎ বল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে চলে গেলে সেটি আনতে আবির আহমদ (১৪) নামের ওই কিশোর দৌড় দেয়। এ সময় একটি বাসের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা সেই বাস আটকে পাশের একটি স্কুলের মাঠে নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।