
ছবি- সংগৃহীত
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতু দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ফাহিমুল ইসলাম।রোববার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রেল সচিব বলেন, ‘যমুনা রেলসেতু আগামী ১৮ মার্চ থেকে (আনুষ্ঠানিকভাবে) চালু হচ্ছে। ওইদিন থেকে এ সেতুর ওপর দিয়ে ফুল ফেজে (পূর্ণমাত্রায়) ট্রেন চলবে। এই রুটে ট্রেনের ভাড়া বাড়বে। ঢাকা থেকে রাজশাহীর যে ভাড়া ৪০৫ টাকা ছিল, সেটি ৪৫০ টাকা হবে। যে ট্রেনগুলো এই সেতু অতিক্রম করবে, সেগুলোর ভাড়া বাড়বে। এটা সিস্টেম অনুযায়ীই বাড়বে।’
ট্রেনের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ভাড়া বৃদ্ধির কারণে ঢাকা থেকে রাজশাহী যেতে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রতি যাত্রীকে শোভন চেয়ারের জন্য ৪৫ টাকা, স্নিগ্ধার জন্য ৯২ টাকা, এসি স্পেশালের জন্য ১০৯ টাকা এবং এসি বার্থের জন্য ১৬১ টাকা বেশি গুনতে হবে।
এছাড়া বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া শোভন চেয়ার ৪৫০ টাকার স্থলে ৪৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৮৫১ টাকার স্থলে ৯৪৯ টাকা এবং এসি স্পেশাল ১০২৪ টাকার স্থলে ১১৩৯ টাকা। এই ট্রেনে শোভন চেয়ারের জন্য ৪৫ টাকা, স্নিগ্ধার জন্য ৯৮ টাকা এবং এসি স্পেশালের জন্য ১১৫ টাকা বেশি দিতে হবে।
ঢাকা-রাজশাহী রুট ছাড়াও যমুনা সেতু দিয়ে চলাচলকারী পশ্চিম রেলের যেসব ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে সেগুলো হলো-নীলসাগর এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, চাঁপাই মেইল, চিলাহাটি এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।
পশ্চিম রেলের অতিরিক্ত চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার খালিদুন নেসা বলেন, ‘ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়ানো হয়েছে। সেতুর টোলের কারণে এ ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে।’