
ফাইল ছবি
মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট ২৭ জন নারী। তারা মেঘনার মুক্তিরও দাবি করেছেন।
রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো এক স্মারকলিপিতে তারা এই উদ্বেগ জানান।আইনজীবী, অধিকারকর্মী, শিক্ষক, গবেষক ও শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার নারী প্রতিনিধিরা এই স্মারকলিপিতে সই করেন।
তারা দাবি করেছেন, মেঘনাকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা তার মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
তারা সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে বলেন, প্রথমে আটক তারপর গ্রেফতার দেখানোর জুলুমবাজি প্রক্রিয়া কেন অনুসরণ করা হলো; কে এই আটকের নির্দেশ দিয়েছে; কেন ৩০ জন কর্মকর্তা একজন নারীর আটকের জন্য মোতায়েন করা হলো; যখন সারা দেশেই নিরাপত্তাহীনতা বিদ্যমান; কী তদন্তের ভিত্তিতে তাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে; আটকের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে কিনা এবং হেফাজতে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
স্মারকলিপিদাতারা সরকারের কাছে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তারা মেঘনা আলমের অবিলম্বে মুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে তার বাসা থেকে কোনও পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা এ অভিযানে অংশ নেন। ঘটনার সময় মেঘনা আলম ফেসবুক লাইভে ছিলেন। তার অবস্থান জানতে পেরে কয়েকজন নারী অধিকারকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন।
আটকের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’, ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করা’ ও ‘অর্থনৈতিক ক্ষতির ষড়যন্ত্র’—এই অভিযোগে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
স্মারকলিপিতে সইকারীদের মধ্যে রয়েছেন—আইনজীবী ইশরাত জাহান ও তাবাসসুম মেহেনাজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মীর্জা তাসলিমা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসরিন সিরাজ, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, আলোকচিত্রী পদ্মিনী চাকমা এবং লেখক ও গবেষক পারসা সানজানা প্রমুখ।