ফাইল ছবি
আবারও অভিযোগ আনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এবার তার বিরুদ্ধে নিজ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার মিয়ামি ফেডারেল আদালতে একটি ‘ফেডারেল অপরাধের’ মামলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি নিজ বাড়িতে রাখা এবং তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানোসহ সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ শুক্রবার (৯ জুন) এ সংবাদ জানিয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ মামলা একটি বিরল ঘটনা। কারণ, তার আগে কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কখনোই ফেডারেল অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়নি।
ফেডারেল অপরাধ হলো এমন কিছু কাজ, যা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার দ্বারা নির্ধারিত। যে কাজগুলোকে দেশটির কংগ্রেসের উভয় কক্ষ সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অবৈধ বলে পাস হওয়ার পর তা দেশটির প্রেসিডেন্টের সইয়ের মাধ্যমে অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়, সেগুলোকে ফেডারেল অপরাধ বলা হয়। এ ধরনের অপরাধের বিচার দেশটির ফেডারেল বা রাজ্যের বিচার বিভাগ উভয়ই করতে পারে।
এ মামলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যে ইচ্ছা তাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। কারণ, তিনি ই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে তার কারাদণ্ড হতে পারে এবং ফেডারেল অপরাধে কারাদণ্ড হলে তাকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হতে পারে।
মামলাটিতে মোট সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের কাছে রাখা, গোপন করা, ন্যায়বিচারকে বাধা দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যা বিবৃতি দেয়া উল্লেখযোগ্য। মামলার বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, শুক্রবারই নথিটি প্রকাশ্যে আসতে পারে।
এদিকে, সরকারি নথি ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন বা ধ্বংস করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন কিনা তা নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞরা দ্বিমত পোষণ করেন। তবে ফেডারেল আইন অনুসারে জাতীয় প্রতিরক্ষা গোপন করে গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘন করলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে এবং বিচারে বাধা দিলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ শাস্তির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা কম।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, তাকে আগামী মঙ্গলবার (১৩ জুন) মিয়ামির ফেডারেল আদালতে উপস্থিত হতে তলব করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমনটা ঘটতে পারে।’