ফাইল ছবি
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এছাড়া নতুন সরকারের ৩৫ জন মন্ত্রীও শপথ নিয়েছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ণ। রাজনৈতিক অস্থিরতার পর, তাদের শপথের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে নতুন সরকারের সূচনা হলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ক্ষমতাসীন ফেউ থাই দলের নেতা ৩৮ বছর বয়সী পেতংতার্ন,গত মাসে সংসদের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হন। তার পূর্বসূরি শ্রেত্থা থাভিসিন আদালতের রায়ে নৈতিকতার লঙ্ঘনের কারণে বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি দায়িত্ব নেন।
বুধবার রাজা কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত মন্ত্রিসভার ১৭ জন ফেউ থাই দলের সদস্য। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীও অন্তর্ভুক্ত। বাকি ১৯টি পদ জোটের অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে।
ব্যাংককের রাজপ্রাসাদে আনুষ্ঠানিক পোশাক পরিহিত পেতংতার্ন এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা রাজা ভাজিরালংকর্ণ এবং রানি সুতিদার সামনে শপথ নেন। শপথবাক্য পাঠের পর রাজা মন্ত্রিসভার উদ্দেশে বলেন, দেশ ও জনগণের কল্যাণে আপনারা যে শপথ নিয়েছেন,সেই অনুযায়ী আপনারা দায়িত্ব পালনে উৎসাহ হবেন এবং দৃঢ়সংকল্প নিয়ে কাজ করবেন।
রাজার বক্তব্যের পরে পায়েতংতার্ন এবং মন্ত্রীরা বিনীতভাবে মাথা নত করেন।
বিতর্কিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার কনিষ্ঠ কন্যা পেতংতার্ন সরকারে আগে কোনও দায়িত্ব পালন করেননি। দেশের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থাসহ তাকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এবং শিনাওয়াত্রা পরিবারের চতুর্থ সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হলেন। তার পরিবারের ক্ষমতাসীন চার সদস্যকেই সামরিক অভ্যুত্থান বা আদালতের রায়ের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।