ফাইল ছবি
ইসরাইল আর বেশি দিন স্থায়ী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শুক্রবার তেহরানে ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় একথা বলেন তিনি।
প্রায় এক বছর ধরে গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও ইরাকে হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরিজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে গত মঙ্গলবার ইসরাইলে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
ওই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসরাইল যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজে খুতবা দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
খুতবায় ইরান, ফিলিস্তিন, লেবানন, মিশর, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনের ‘শত্রু এক’ বলে মন্তব্য করেন খামেনি।ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘আমাদের শত্রুদের গৃহীত নীতি হলো বিভেদ ও বিদ্রোহের বীজ বপন করা। সব মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিশরীয় ও ইরাকিদেরও শত্রু। তারা ইয়েমেনি ও সিরিয়ার জনগণেরও শত্রু।’
সম্প্রতি ইসরাইলের হামলায় নিহত হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর প্রশংসা করেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
তিনি বলেন,
সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ আর আমাদের মধ্যে নেই। তবে তার আদর্শ ও তার দেখানো পথ আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। তার শাহাদাত এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে। নাসরুল্লাহর জীবনদান বৃথা যাবে না। আমাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অভিযানকে ‘যৌক্তিক ও আইনসম্মত’ বলে অভিহিত করেছেন খামেনি।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, লেবানিজ ও ফিলিস্তিনিরা দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়ছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার কোনো আন্তর্জাতিক আইনে নেই।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, হিজবুল্লাহ ও হামাসের গুরুতর ক্ষতি ইসরাইল করতে পারবে না। হিজবুল্লাহর লড়াই পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা বলে মন্তব্য করেন খামেনি। তিনি বলেন, প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর নেতাদের ইসরাইল হত্যা করলেও ইরানের এই মিত্ররা পিছু হটবে না।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘এই শাহাদাতের জেরে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ পিছু হটবে না। এবং জয়ী হবে।’
প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম জুমার খুতবা দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। সবশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন তিনি। আজ খামেনিকে একনজর দেখতে তেহরানে খুতবায় হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।