ফাইল ছবি
ইয়েমেনে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। রাজধানী সানায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির অবস্থান লক্ষ্য করে দফায় দফায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও জানা যায়নি।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, রোববার হুতি নিয়ন্ত্রিক টেলেভিশন চ্যানেল আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, রাজধানী সানার কিছু এলাকায়, উত্তরাঞ্চলীয় আমরানসহ আরও এলাকায় শনিবার রাতভর বিমান হামলা চালানো হয়েছে
টিভির খবর মতে, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে, তারা সানার বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের পাশাপাশি যুদ্ধবিমানের তীব্র শব্দ শুনেছেন। তবে হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। হামলার ব্যাপারে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন বলেছে, এটি ‘অভিযানে উন্নত অস্ত্র গুদাম টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে।’
পেন্টাগন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরজুড়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী সামরিক ও বেসামরিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে হুতির ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা।
গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরাইলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলার পর থেকেই হামাসকে নির্মূলের জন্য গাজায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করে ইসরাইল। যা গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে। এতে গাজা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
গাজার যুদ্ধের শুরু থেকেই লোহিত সাগরে ইসরাইল ও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলোর জাহাজে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। হুতিদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে হামলা চালাচ্ছে তারা।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, গত এক বছরে লোহিত সাগরে শতাধিক হামলা চালিয়েছে হুতিরা। এতে এখন পর্যন্ত চার জন নিহত হয়েছে এবং দুটি জাহাজ ডুবে গেছে। গত নভেম্বরে হুতিরা একটি জাহাজের দখল নিয়ে নেয়ার পর এর কর্মীরা এখনও তাদের কাছে আটক রয়েছে।
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা ঠেকাতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে হুতি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ আরও বেশ কয়েকটি পশ্চিমা মিত্র দেশ। তবে এসব হামলায় হুতির চেয়ে বেসামরিক মানুষেরই বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত জুলাই মাসে হুদেইদাহ বন্দর এলাকায় মার্কিন-ব্রিটিশ যৌথ হামলায় ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।