ফাইল ছবি
সামরিক আইন জারির ঘটনায় জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। টেলিভিশনে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি ক্ষমা চান। চলতি সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক ঘোষণায় দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেন ইউন।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারি করার পর বিরোধিতার মুখে পড়েন ইউন। তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর অভিশংসনের দাবি ওঠে। পরে পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত বাতিল করা হয়। পার্লামেন্টে ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সামরিক আইনের বিপক্ষে ভোট দেন।
ইউন তার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’ দেশে সামরিক আইন জারির মতো এমন ঘটনা আর কখনও হবে না বলেও নিশ্চিত করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
সামরিক আইন জারির পর এটা অনুমান করা হয়েছিল যে ইউন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তার পদত্যাগের আশঙ্কাও ছিল। কিন্তু পদত্যাগের ঘোষণা না দিয়ে বরং দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য তার ক্ষমতাসীন দলের ওপর দায়িত্ব অপর্ণের কথা জানান প্রেসিডেন্ট। ভাষণে অভিশংসন নিয়ে কথা বলেননি ইউন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন। সামরিক শাসন জারির পর বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিসংশনের ডাক দেয়ার পর বুধবার (৪ নভেম্বর) পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার এক আকস্মিক ঘোষণায় দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইওল। তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান নির্মূল করার জন্য এটি প্রয়োজন ছিল।