ফাইল ছবি
সিরিয়ায় মাত্র ১২ দিনের মাথায় বিদ্রোহীদের হাতে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে। এতে দেশটিতে দুই যুগ ধরে চলা শাসনের অবসান হয়েছে। বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখলে নিয়েছে। এমনকি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস)-এর নেতা আবু মোহাম্মদ আল জোলানি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। এদিকে দেশটিতে অন্তত ৭৫টি বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে
সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এ ঘাঁটিতে ৯০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। তারা আসাদের পলায়নের দিনও জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএলের অবস্থানকে নিশানা করে অন্তত ৭৫ হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় তাদের ক্যাম্প ও অভিযানকে নিশানা করা হয়েছে।
এ সেন্টকম কমান্ডার মাইকেল কুরিলা বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) তাদের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে এবং একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করতে শূন্যতার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তবে আমরা তাদের এটি হতে দেব না।
তিনি বলেন, সিরিয়ার সমস্ত সংস্থার জানা উচিত যে তারা যদি আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর সাথে অংশীদারিত্ব করে বা সমর্থন করে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের জবাবদিহি করবে।
মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়ার পূর্বে বাদিয়াহ মরুভূমিতে েএ হামলা চালানো হয়েছে। এলাকাটিতে আইএস নিজেদের পুনর্গঠন করছে।
উল্লেখ্য, বাবা হাফিজ আল বাশাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে বাশার আল আসাদের শাসনকাল শুরু হয়। প্রথমে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তী সময়ে বাবার মতোই কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে ওঠেন তিনি। বাশার আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের। এর আগে ২০১১ সালে আরব বসন্ত ঘিরে বাশার আসাদের ক্ষমতার মসনদ নড়ে উঠেছিল।
কিন্তু সে যাত্রায় রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে গিয়েছিলেন বাশার আসাদ। এবার অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। রাশিয়া ও ইরান আগেই তাদের সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে ফেলে। এরপরই হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের গ্রুপ মাত্র তিনটি শহর দখল করে নেওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালাতে হয় বাশার আসাদকে। গোপনে প্লেনে চড়ে ছাড়তে হয় মাতৃভূমিও।