ফাইল ছবি
সিরিয়ার কাছ থেকে ইসরায়েলের দখল করে নেয়া গোলান মালভূমির বাফার জোনে শান্তিরক্ষা মিশন ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
শুক্রবার এই অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতায় উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই মিশনের কার্যক্রম আরো ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়। খবর আবর নিউজের।
গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েলি সৈন্যরা সামরিক অঞ্চল ছেড়ে গোলানের বেসামরিক অঞ্চল বা বাফার জোনে ঢুকে পড়ে।
এই অঞ্চলটি ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে বাফার জোন হিসেবে চিহ্নিত করে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক বাহিনী (ইউএনডিওএফ) এর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ইসরায়েলের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এটি তাদের অস্থায়ী একটি পদক্ষেপ। তবে এই অঞ্চল থেকে তারা কখন সৈন্য প্রত্যাহার করবে সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।
শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষকেই ইসরায়েল ও সিরিয়াব মধ্যে ১৯৭৪ সালের চুক্তির শর্তাবলী মেনে চলতে হবে। কঠোরভাবে যুদ্ধবিরতি পালন করতে হবে বলেও বৈঠকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
যে কোনো পক্ষের সামরিক কার্যক্রম ইসরায়েল এবং সিরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় বেসামরিক জনগণ এবং জাতিসংঘের মিশনে কর্মরত কর্মীরা ঝুঁকিতে পরতে পারেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বাফার জোনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ব্যতীত কোনো সামরিক বাহিনী থাকা উচিত নয় এবং এই অঞ্চলে কোনো দেশের সামরিক বাহিনীর অবস্থান থাকতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলা দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। এই হামলা বন্ধ করতে হবে।