ছবি- সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুসের পালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দ্য টেলিগ্রাফ সম্প্রতি ভিডিওটি প্রকাশ করে এর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছে।
ভিডিওটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা। তাতে দেখা যায়, তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস ও তার সহকর্মীরা তাড়াহুড়ো করে একটি ঘর থেকে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। এ সময় তাদের সবাইকে বেশ চিন্তিত ও হন্তদন্ত ভঙ্গিতে দেখা যায়। তাদের আশপাশের লোকজনও উদ্বিগ্ন হয়ে চারপাশে নজর রাখছিলেন।
টেলিগ্রাফ জানায়, ভিডিওটি ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরের। সেখানে ইসরায়েলের বিমান হামলার সময়কার দৃশ্য ক্যামেরায় উঠে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান এবং তার সহকর্মীদের তাৎক্ষণিক তৎপরতা তাদের অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই দিয়েছে।
তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস ও তার সহকর্মীরা একটি ফ্লাইটের অপেক্ষায় বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। তেদরস স্বাভাবিক সময়ের মতো সোফায় বসে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় বিমানবন্দরে অস্বাভাবিক ছোটাছুটি ও আওয়াজ লক্ষ্য করে এক সহকর্মী তেদরসের পাশে এসে দাঁড়ান। ওই সহকর্মী ওয়েটিং রুমের বাইরে তাকিয়ে কী হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় বিস্ফোরণের শব্দে অন্যান্য সহকর্মী ও তেদরসের নিরাপত্তাকর্মীরা এগিয়ে এসে তাকে ঘিরে ওয়েটিং রুম থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেন। সে সঙ্গে ওই ঘরে থাকা অন্যরাও দ্রুত বেরিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার এই হামলার খবর নিশ্চিত করে হুতি। ইসরায়েলি বিমান হামলায় সানা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে বিমানবন্দরটি কার্যক্রম পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনের সাংবাদিক হুসাইন আল বুখাইতি। পাশাপাশি আল দাইলামি সামরিক ঘাঁটি এবং হোদেইদাহ বিদ্যুৎকেন্দ্রেও হামলা হয়েছে। ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছে।
হুতিদের আল-মাসিরাহ টিভি এই হামলাকে ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।