ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘খুব দ্রুতই’ দেখা করবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ট্রাম্প নিজেই এই কথা জানিয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুন জাপানের ওসাকায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
২০১৯ সালের ২৮ জুন জাপানের ওসাকায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার
মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ‘খুব দ্রুত’ দেখা করবেন।
যদিও পুতিনের সঙ্গে সম্ভাব্য এই বৈঠকের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা কথা বলেননি ট্রাম্প। তবে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলে তা হবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে প্রথম কোনো বৈঠক।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ অবসানে তার কৌশল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প নিউজম্যাক্সকে বলেন, ‘ঠিক আছে, এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি কৌশল রয়েছে এবং সেটি পুতিনের ওপর নির্ভর করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবং আমি জানি তিনিও (পুতিন) দেখা করতে চান এবং আমি খুব তাড়াতাড়ি (তার সঙ্গে) দেখা করতে যাচ্ছি। আমি এই সাক্ষাৎ তাড়াতাড়ি করে ফেলতাম কিন্তু... এর জন্য আপনাকে তো (প্রেসিডেন্ট হিসেবে) দায়িত্ব নিতে হবে। কিছু কাজ করতে হলে আপনাকে সেখানে থাকতে হবে।’
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। গত রোববার তিনি বলেন, ‘আসন্ন দিন এবং সপ্তাহগুলোতে’ তিনি ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের আশা করছেন।
অন্যদিকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার আগেই বেকায়দায় ইউক্রেন। রাশিয়ার আক্রমণের মুখে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহর হারাচ্ছে দেশটি। পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক অঞ্চলের বেশ শহর দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধের সমাপ্তি ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি কিয়েভের। তবে রাশিয়া যেহেতু এখনও দোনেৎস্কসহ চারটি অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায়, ইউক্রেনের জন্য তা মেনে নেয়া কঠিন। অন্যদিকে, লক্ষ্য পূরণ ছাড়া আপাতত কোনো ধরনের সমঝোতায় রাজি নয় মস্কো।