ছবি- সংগৃহীত
গাজায় অবশেষে কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। বেশ কিছুটা বিলম্বের পর স্থানীয় সময় রোববার বেলা সোয়া ১১টায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদন মতে, গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মধ্যস্থতাকারী কাতারও। এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারী ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়ার আগে, এই চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তির জন্য বন্দিদের নামের তালিকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রথম ধাপে যে তিন নারী মুক্তি পেতে যাচ্ছেন তাদের পরিবারকে এ বিষয়ে অবহিত করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
তার আগে প্রথম ধাপে মুক্তি দেয়া হবে এমন তিন জিম্মির তালিকা ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করে হামাস। রোববার ইসরাইল গণমাধ্যমের বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে মুক্তি দেয়া হবে এমন বন্দিদের নামের তালিকা ইসরাইল পেয়েছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে মুক্তি দেয়া হবে এমন তিনি নারী জিম্মির নাম হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন- রোমি গোনেন, এমিলি দামারি এবং ডোরন স্টেইনব্রেচার।
এর আগে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী যেকোনো মুহূর্তে জিম্মিদের তালিকা দেয়া হবে। ‘কারিগরি ত্রুটি’ এবং অব্যাহত বোমা হামলার কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে
রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বহুল প্রত্যাশিত গাজা যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, হামাস জিম্মিদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না বলে জানায় ইসরাইল। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, যতক্ষণ না হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত পূরণ করতে পারছে, ততক্ষণ গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না।
এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তি দেয়া হবে এমন জিম্মিদের তালিকা না দেয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।