ফাইল ছবি
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, তিনজন ইসরাইলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় হামাসের কর্মকর্তারা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, রেড ক্রস এখন রোমি গোনেন, এমিলি দামারি এবং ডোরন স্টেইনব্রেচার নামের ওই তিনি জিম্মিকে নেটজারিম করিডোর এলাকায় আইডিএফের (ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী) কাছে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
টাইমস অফ ইসরাইল জানিয়েছে, আইডিএফ কর্মকর্তারাও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ইসরাইলি চ্যানেল ১২ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায় যে, আইসিআরসি (ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস) গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি ৩ বন্দিকে গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেড ক্রস ওই তিন নারী বন্দিকে গাজার একটি বিশেষ সেনা ইউনিটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের ইসরাইলের একটি সামরিক স্থাপনায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। পরে তারা হাসপাতালে পৌঁছাবে, যেখানে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।
মুক্তি পাওয়া ইসরাইলের তিন বন্দি হলেন-
রোমি গোনেন (Romi Gonen)
২৪ বছর বয়সি রোমি গোনেন উত্তর ইসরাইলের বাসিন্দা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে হামাস যোদ্ধাদের হামলার সময় তাকে বন্দি করা হয়। রোমি সেই সময় গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। ওই সময় তার মা তাকে ফোনে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তার গাড়িটি ফাঁকা অবস্থায় পাওয়া যায় এবং ফোনটি গাজার ভেতরের একটি জায়গায় ট্রেস করা হয়।
এমিলি দামারি (Emily Damari)
২৮ বছর বয়সি এমিলি দামারি একজন ব্রিটিশ-ইসরাইলি নাগরিক। তিনি ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে গাজার সীমানার কাছে কফার আযা কিব্বুটজে বেড়ে ওঠেন। সেই দিন হামাস যোদ্ধারা তার বাড়িতে আক্রমণ চালালে তার হাত ও পায়ে আঘাত লাগে। গত অক্টোবর মাসে তার মা মান্ডি দামারি বলেছিলেন, এমিলিকে হয়তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এতো দিন ধরে এমনটাই আশঙ্কা করছিলেন তিনি।
ডোরন স্টেইনব্রেচার (Doron Steinbrecher)
৩১ বছর বয়সি ডোরন স্টেইনব্রেচার একজন ভেটেরিনারি নার্স। তাকেও কফার আযা থেকে অপহরণ করা হয়। হামলার দিন তিনি তার বাবা-মায়ের জন্য একটি বার্তা রেখে গিয়েছিলেন যে, তাকে বন্দি করা হয়েছে। তিনি একজন ইসরাইলি-রোমানিয়ান দ্বৈত নাগরিক এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হামাসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে আরও দুই বন্দির সঙ্গে তাকেও দেখা গিয়েছিল।