ছবি- সংগৃহীত
গত তিন দিনে পাঁচ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আল-রশিদ এবং সালাহ আল-দিন রাস্তা দিয়ে উত্তর গাজায় ফিরে গেছে। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় তাদের বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরে আসছেন।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত তিন দিনে পাঁচ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আল-রশিদ ও সালাহ আল-দ্বীন সড়ক হয়ে গাজার উত্তরাঞ্চে ফিরে গেছে।
এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরুর পর ৪৭০ দিন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজায় ফিরছেন।
এর আগে গত সোমবার ভোর থেকে ফিলিস্তিনিরা ক্যাম্প থেকে তাদের জিনিসপত্র ব্যাগে ভরে পায়ে হেঁটে উত্তরে যাত্রা শুরু করে।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এক ফিলিস্তিনি আল জাজিরাকে বলেন, আমি আমার বাড়ি পুনর্নির্মাণ শুরু করব। আমরা ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে আবার এটি পুনর্নির্মাণ করব।
এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ফিরে আসা মানুষেরা তাদের ভূমির সঙ্গে নিজেদের যোগসূত্র নিশ্চিত করছে। আবারও লোকজনকে বাস্তুচ্যুত করা ও তাদের দৃঢ় ইচ্ছা ভঙ্গের আগ্রাসী লক্ষ্য অর্জনে দখলদারদের ব্যর্থতার প্রমাণ এটি।
যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েল স্থল আগ্রাসনের প্রস্তুতির জন্য উত্তর গাজা থেকে প্রায় ১১ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক সরিয়ে দিয়েছিল। গত রোববারও ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নেটজারিম ক্রসিংয়ের কাছে যেতে বাধা দেয়। বেশ কয়েকবার জনতার ওপর গুলি চালায় এবং কমপক্ষে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।