![৩ জিম্মির বিনিময়ে আজ ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে ছাড়ছে ইসরাইল ৩ জিম্মির বিনিময়ে আজ ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে ছাড়ছে ইসরাইল](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/jimmi-2502081032.jpg)
ছবি- সংগৃহীত
যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আরও তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। বিনিময়ে ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার মুক্তি পেতে যাওয়া তিন ইসরাইলি পুরুষ জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। এই তালিকায় রয়েছে এলি শারাবি, ওর লেভি এবং ওহাদ বেন আমি নামের তিন ইসরাইলি জিম্মি।
গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর এরইমধ্যে ১৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ৩৮৩ ফিলিস্তিনি
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর মধ্যে আটজন মারা গেছেন বলে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ১৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল।
শুক্রবার হামাস দাবি করে, গাজায় মানবিক সহায়তা আটকে চুক্তি লঙ্ঘন করছে ইসরাইল। এরসঙ্গে, ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনাও এই চুক্তির ভিতকে দুর্বল করে দিয়েছে।
হামাসের প্রশ্ন, গাজার ভাগ্য যদি পশ্চিমারা এরমধ্যেই নির্ধারণ করে ফেলে থাকে, তবে এই চুক্তি মেনে এগিয়ে যাওয়ায় হামাসের কোনো স্বার্থ নেই।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজা বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য একটি স্থানে পরিণত হয়েছে। জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গোলাবারুদ, ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়িঘর। এ অবস্থায় বাসিন্দাদের অন্য কোথাও সরে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত বলে দাবি করেন তিনি।
এই পরিকল্পনা প্রকাশের একদিন পরেই ফিলিস্তিনিদের ‘স্বেচ্ছা প্রস্থান’ এর জন্য ইসরাইলি সেনাদের প্রস্তুত থাকতে বলে তেল আবিব। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পরিকল্পনার ঘোরতর বিরোধিতা করছে গাজাবাসী। ধ্বংসযজ্ঞ হলেও, নিজেদের বসতভিটা এবং ব্যবসা মার্কিনদের হাতে তুলে দেয়ার পক্ষে নন তারা।