
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে পাঁচ শতাধিক পাকিস্তানি যুবককে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে মধ্যে কয়েক ডজন নারীও আছেন। সোমবার জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি এসব যুবককে অপহরণের পর জোরপূর্বক শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। এসব পাকিস্তানি যুবকের মধ্যে বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত।
তাদের অনলাইনে চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়। এরপর তারা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চাকরির লোভে। সেখান থেকে তাদের অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারের বিপজ্জনক অঞ্চলে পাচার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের তাদের পাসপোর্ট জব্দ করা হয় এবং শেষমেশ মিয়ানমারে জোরপূর্বক শ্রম শিবিরে বন্দী করা হয়েছে।
নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এসব পাকিস্তানি দিয়ে নানা অপরাধ কাজ করাতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছে, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, অনলাইন কেলেঙ্কারি, ক্রিপ্টোকারেন্সি-সম্পর্কিত অবৈধ কার্যকলাপ।
এসব বন্দীর ওপর ব্যাপক নির্যাতনসহ বিনা বেতনে জোরপূর্বক শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জিও নিউজ জানিয়েছে, তাদেরকে পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতে ১১ জন পাকিস্তানি বন্দী শিবির থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। তবে তাদের মধ্যে পাঁচজন নদীতে ডুবে গেছে এবং ছয়জন ভাগ্যক্রমে থাইল্যান্ডের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পেরেছেন। এরপর পাকিস্তান দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
থাইল্যান্ডে পাকিস্তানের হাইকমিশনার রুখসানা আফজাল জানান, মিয়ানমারে বন্দী সকল পাকিস্তানিকে উদ্ধারে সক্রিয়ভাবে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া এই বিষয়টি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকেও জানানো হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।