
ছবি- সংগৃহীত
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হলেও শত শত মানুষের মৃত্যু ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারে দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর মান্দালয়ে অবস্থিত উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। মৃত্যুর সংখ্যাও বহু। উদ্ধার প্রচেষ্টা চলমান থাকায় আমরা এখন এটুকুই বলতে পারি। নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি, তবে শত শত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। পরে ১টা ২ মিনিটের দিকে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি আফটারশক আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এক সরকারি বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকার ভূমিকম্পের পর ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা।
অন্যদিকে মিয়ানমারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের কম্পন থাইল্যান্ডেও অনুভূত হয়েছে। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পে ভবন ধসে ৭০ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ব্যাংককে মেট্রো ও রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে একটি বড় ভূমিকম্পে ব্যাংকক শহরে আঘাত হানার পর শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।