
ফাইল ছবি
ফরাসি আদালত ফ্রান্সের ডানপন্থী নেত্রী মেরিন লে পেনকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের তহবিল আত্মসাতের জন্য চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য কোনও নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। ২০২৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে ফ্রান্সে। লে পেন জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য এটাই হতে চলেছে তার শেষ নির্বাচন। তবে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিষেধাজ্ঞায় তা আর সম্ভব নয়। ৪ বছর কারাদণ্ডের মধ্যে লে পেন যদি ২ বছর গৃহবন্দি থাকতে রাজি হন তাহলে বাকি ২ বছর তাকে কারাগারে থাকতে হবে না। এছাড়াও নেত্রীর ২৪ জন সহযোগীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাদেরও ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি লে পেনের দলকে ২ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে।
যদিও লে পেন এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। তবে তার আইনজীবী বলেছেন যে, শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এই শাস্তিকে ‘রাজনৈতিক মৃত্যু’ বলে মন্তব্য করেছেন লে পেন। বিচারক যখন আদেশটি ঘোষণা করছিলেন, তখন লে পেন প্রথমে সেই রায়কে বিশ্বাস করতে চাননি। অনুশোচনার কোনো লক্ষণ না দেখিয়ে রায়ের মাঝখানে তিনি আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন। ২০ জন সদস্যসহ ন্যাশনাল র্যালি পার্টির নেত্রী লে পেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দায়িত্বে থাকাকালীন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আর্থিক তহবিলের অপব্যবহার করেছিলেন তিনি। এই মামলাতেই গত সোমবার লে পেনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনায় আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে লে পেনের ব্যক্তিগত সহকারী এবং তার দেহরক্ষীও ছিলেন। আদালত রায় দিয়েছে যে, যদিও লে পেন ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হননি, এই দুর্নীতির লক্ষ্য ছিল সংসদ এবং ভোটার উভয়কেই বিভ্রান্ত করা। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ইউক্রেন নিয়ে সরব হয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সে প্রসঙ্গ টেনেই ট্রাম্প বলেন, ‘বর্তমানে ফ্রান্সের শীর্ষ নেত্রী তিনিই। আর তাকেই ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হল।’
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক এক্স-এ লিখেছেন, ‘যখন উগ্র বামপন্থীরা গণতান্ত্রিক ভোটের মাধ্যমে জিততে পারে না, তখন তারা তাদের বিরোধীদের জেলে দেওয়ার জন্য আইনি ব্যবস্থার অপব্যবহার করে।’