
ফাইল ছবি
২০২৪ সালে ইউরোপে রেকর্ড মাত্রায় গরম পড়েছিল, যা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক প্রতিবেদনে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউরোপে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে তাপমাত্রা বাড়ছে। এ বার ইইউর কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মহাদেশটির লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়ছেন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে। যেমন গত অক্টোবর ও নভেম্বরে স্পেনের ভ্যালেনসিয়ায় বন্যায় ২২০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। তার ঠিক এক মাস আগে বোরিস ঝড়ে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের আটটি দেশের বিভিন্ন শহরে বন্যা হয়। এতে চার লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। প্রতিবেদনে এছাড়াও বলা হয়েছে, একদিকে পূর্ব ইউরোপে তীব্র তাপদাহ এবং দক্ষিণ ইউরোপে শীতকালে দীর্ঘস্থায়ী খরা ছিল।
বলা হচ্ছে, শহরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে শুষ্ক ও শক্ত মাটি বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, অথচ এগুলো দ্রুত বৃষ্টির পানি শোষণ করতে পারে না। প্যারিস, মিলান ও গ্লাসগোর মতো শহরগুলো সবুজ এলাকা ও পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখার সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে খাপ খাইয়ে নিতে নানা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে৷
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান সেলেস্ট সাওলো বলেন, ‘অভিযোজন অপরিহার্য। অতি অল্প তাপমাত্রা বৃদ্ধিও আমাদের জীবন, অর্থনীতি ও পৃথিবীর জন্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’
এতসব ঝুঁকির মধ্যেও একটি ইতিবাচক দিক হলো, ২০২৪ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইউরোপের ৪৫ শতাংশ শক্তির উত্স হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। সৌর, বায়ু ও বায়োমাসের মতো শক্তি উৎসগুলোর ওপর নির্ভরতা বাড়ায় ভবিষ্যতে জলবায়ু ঝুঁকি কমবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের অর্ধেকেরও বেশি শহর চরম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।